সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। কারণ হচ্ছে গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে চালিত করার জন্য নির্বাচনের সময়ে যে সরকার থাকে তারা পলিসি ডিসিশন নেয় না, যাতে একটা লেবেল প্লেইংফিল্ড থাকে। তারা এমন কিছু করে না যেটাতে সরকার জনগণকে ভোট দিতে আকৃষ্ট করে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। গণতান্ত্রিক উপায়ে সংসদীয়গণতন্ত্রে যেভাবে সরকার চালিত হয়, নির্বাচন ঘোষণার পর সরকার যেভাবে চালিত হবে ঠিক সেভাবেই হবে।
তফসিল হয়েছে কিন্তু বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নির্বাচনে আসবে না বলছে। এ অবস্থায় সরকারের অবস্থান কী— জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আমরা এখন চলব। সেই সংবিধানের বাইরে আমরা কিছুই করব না। তার কারণ হচ্ছে জনগণ আমাদেরকে সেই ম্যানডেট দেয়নি।
আরও পড়ুন
২০০৬ সালে বিএনপি একই কথা বলেছিল, সে সময় আপনারা যৌক্তিক দাবির কথা বলেছিলেন। এ বিষয়ে এক সাংবাদিক মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, না, আপনি সঠিকটা বলেননি। ব্যাপারটি হচ্ছে এই সংবিধানটি নিয়ে ফুটবল খেলে ওনারা ওনাদের ইচ্ছামতো একজন বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে চিফ অ্যাডভাইজার হন, সে ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু সেটা জনগণ মেনে নেয়নি।
জনগণ না মানার কারণেই একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আসতে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যদিও তখন সংবিধানে নির্বাচনের তিন মাসের ম্যান্ডেট ছিল। তিন মাস থাকতে পারে শুধু নির্বাচন করার জন্য কিন্তু তারা দুই বছর ছিল। আপনার কথাটা যে সত্য নয়, এতেই প্রমাণ হয়।
আপনারা বলেছিলেন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেবেন। যদি একটি দল নির্বাচনে না আসে তাহলে কীভাবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে যদি জনগণ ভোট দেয়। কে আসলো বা কে না আসলো কোনো রাজনৈতিক দল আসলো কি না আসলো সেটা কোনো বড় বিষয় নয়। জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে সেটাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তার কারণ হচ্ছে জনগণ সব ক্ষমতার উৎস।
এসএইচআর/এমএ