সিইসিকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে : জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের একতরফা ভোটকে জায়েজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। সেজন্য বাংলাদেশের মানুষের আদালতের কাঠগড়ায় বিচারের জন্য তাঁকে দাঁড়াতে হবে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
জোনায়েদ সাকি বলেন, একতরফা নির্বাচনের যে অনুমান আমরা করেছিলাম গতকাল তারা সেটির প্রমাণ দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কয়েকদিন আগে নির্বাচনের পরিবেশ নেই বললেও তিনিই এখন তফসিল ঘোষণা করেছেন। তিনি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়েছেন। নির্বাচন যেমন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা তেমনি সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে যদি পরিবেশ না থাকে তাহলে কার্যক্রম স্থগিত করার। অথচ সেটি না করে এখন দেশকে একতরফা নির্বাচনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই দেশের অনেক গুণীজ্ঞানী ও মহান মানুষ আপনার (সিইসি) চাকরি জীবনের সুনামের জন্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নাম প্রস্তাবনা করেছিল। কিন্তু সমস্ত সুনাম ধ্বংস করে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে সরকারের দালাল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেন।
আরও পড়ুন
এর আগে দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে মিছিল করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মিটিলটি দৈনিক বাংলা মোড় ঘুরে পুনরায় পুরানা পল্টনে এসে শেষ হয়। এ সময় দলটির নেতাকর্মীদের ‘অবৈধ নির্বাচন, মানি না মানবো না’, ‘অবৈধ তফসিল, মানি না মানবো না’, ‘নির্বাচনী তফসিল, মানি না মানবো না’, ‘সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা, হরতাল হরতাল’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
তারা বলেন, সবকিছু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এই তফসিল সব বিরোধী দল দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন এ দেশে অনুষ্ঠিত হবে না। জোর করে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো একতরফা নির্বাচন করতে চাইছে। এটি তাদের একনায়কতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। ইসি হাতের পুতুল হিসেবে কাজ করছে। তিনি নিরপেক্ষ থাকার বদলে উল্টো দলীয় নেতাদের মতো কাজ করছেন। ফলশ্রুতিতে একতরফা তফসিল ঘোষণা করেছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে গণতন্ত্রের চর্চার প্রতি তার দায়িত্ববোধ নেই।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের সভাপতিত্বে ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাক্কারুল ইসলাম নবাব।
আরএইচটি/এমজে