আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে ট্রেন চলে গেল সেই ট্রেন থামানোর ক্ষমতা তাদের (বিএনপি) নেই। তারা না উঠলে আমরা কী করব। নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। নির্বাচনে ট্রেনে আপনি উঠবেন না, আপনি না উঠলে ট্রেন কি থেমে থাকবে? নির্বাচন নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এর বিকল্প কী করার আছে?

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি কার অধীনে নির্বাচন করবে এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। জাতীয় পার্টির সম্পর্কে শেষ বিষয়টা শুনতে একটু সময় অপেক্ষা করেন, বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ভেতরে অনেক খবর আছে।

‘সিইসির বক্তব্য এবং ডোনাল্ড লু’য়ের চিঠি, এ দুটি বিষয় আলাদা। নির্বাচনের জন্য সংলাপ করতে হবে, এই কথা ইসির বক্তব্যে নেই। আর এটা থাকারও কথা না।’

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনীতি বিশ্বাসী এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় সংলাপে অপরিহার্য। সংলাপের বাস্তবতাকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। বিএনপির সঙ্গে দুবার সংলাপ করেছে। বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করিনি তা নয়। এবার তো প্রেসিডেন্ট ডেকেছিল তারা আসেনি, নির্বাচন কমিশন ডেকেছে তারা আসেনি। সংলাপ এক পক্ষে চাইলে হবে না, সবাইকে চাইতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলাম, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ। 

এমএসআই/এসএম