দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। এই নির্বাচনী ট্রেন যারা মিস করবে তাদের জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না। নির্বাচন তার আপন গতিতে চলবে।

বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে আমরা স্বাগত জানাই। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, তারা স্বাধীনভাবেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তারা সুষ্ঠু, অবাধ এবং একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচন শিডিউল ঘোষণা করায় দেশবাসী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা এবং শাসনতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিচালনায় এটা একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, নাশকতা, জ্বালা, পোড়াও, ধ্বংস, অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাত থেকে গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা বাংলাদেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং নির্বাচন করতেই হবে। আমরা ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানাই। আমরা আশা করছি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, তারা নির্বাচনে আসবে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদের অপরিবর্তনীয় বিভিন্ন উপধারা মোতাবেক নির্বাচন ব্যতীত বল প্রয়োগ বা অন্য কোন উপায়ে সরকার পরিবর্তনের যে কোনো উদ্যোগ সর্বোচ্চ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেকোনো দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি বল প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। সুতরাং বিএনপির জন্য মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকি কেউ নেবেন এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। অতএব তারা নির্বাচনে আসবেন এবং নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করি আমরা। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত শিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানাই।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা মনে করি, কমিশন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার আলোকেই তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্বাচন যথাসময় হবে তার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করছে। আশা করি, জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোটকেন্দ্রে যাবে। যারা নির্বাচনে বাধা তৈরি করতে চায়, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চায়, যারা নির্বাচন শিডিউলের বিরোধিতা করবে, তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। দেশে সুশাসন থাকুক, গণতন্ত্র থাকুক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক তারা সেটা চায় না। 

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন স্বত্বা। কমিশন এ নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে সফল করবে। আওয়ামী লীগ সর্বাত্মকভাবে তাদের সহযোগিতা করবে। যারা এ নির্বাচনী ট্রেন মিস করবে, তাদের জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না। নির্বাচন তার আপন গতিতে চলবে। বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। 

এমএসআই/এসকেডি