বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব ও ফখরুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের তথ্য জানান।

তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ভিত্তিতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব ও ফখরুল ইসলামকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগ স্কাই সিটি হোটেল লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন এ দুই নেতা দলের চলমান আন্দোলনে দ্বিমত পোষণ করে নির্বাচনের অংশ নিতে বিএনপিকে আহ্বান জানান।

তারা বলেন, নির্বাচনে আসার বিকল্প নেই। সংঘাত এড়িয়ে সংলাপ করে সংকট নিরসন করতে হবে। ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চে’র ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন, তাদের সঙ্গে বিএনপির ১২৫ জন নেতা আছেন। তারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন ।

এ ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাইফুল ইসলাম টিপু তাদের বহিষ্কারের কথা জানান।

লিখিত বক্তব্যে খন্দকার আহসান হাবিব বলেছিলেন, সংসদীয় নির্বাচন গণতন্ত্র সুরক্ষার একটি উপাদান। বাংলাদেশের সংবিধানের বাধ্যবাধকতা প্রতি ৫ বছর পরপর সংসদীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করেন। ১১তম সংসদের মেয়াদ ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ সালে সমাপ্ত হবে। সংবিধানের বিধান অনুসারে, ২৯ জানুয়ারির পূর্বেই ১২তম সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। তা না হলে সংবিধান ভঙ্গ হবে। ক্ষমতার পরিবর্তন একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব, অন্য কোনো উপায় সংবিধানে লিপিবদ্ধ নেই।

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকমের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সংসদ নির্বাচন করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব উপেক্ষা করার কোন উপায় নেই বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন।

এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অপর সদস্য ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি স্বপন সরকার রাজবাড়ী-১, এবং ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিন্টু টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এএইচআর/এসকেডি