ফয়জুল করীম
জনগণের ভাষা বুঝুন, একতরফা নির্বাচন দিয়ে সংঘাতে ঠেলে দেবেন না
জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
তিনি বলেছেন, একতরফা নির্বাচন দিয়ে দেশকে নিশ্চিত সংঘাতে ঠেলে দিবেন না। জনগণের মনের কথা বুঝার চেষ্টা করুন। জনগণ সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় চায় না। একতরফা নির্বাচন দিয়ে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া কোন দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে না।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টন কার্যালয়ে দেশের চলমান সংকটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, সরকারের মনোবাসনা পূরণে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেবেন না। দেশকে আরো বিপর্যয়ের দিকে পতিত করবেন না। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করে দেশকে রক্ষা করুন। সংকট থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করুন।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বিরোধী দলের অবরোধ ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সহিংস ভাষায় কথা বলছে। জায়গায় জায়গায় মহড়া দিয়ে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে সরকার দলীয় লোকজন। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন ক্ষমতা লিপ্সার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের ভয়াবহতা ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছিলাম। সরকার নিজেদের স্বার্থে ১৭বার সংবিধান সংশোধন করেছে। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান তিনি।
দলের নায়েবে আমীর বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও কার্যকর করা যায়নি। ফলে নির্বাচনকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সার্বজনীন রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার সুফলও জাতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সার্বজনীন সমর্থিত এই ব্যবস্থাকে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে হত্যা করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, সহকারী দফতর সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।
জেইউ/এমজে