গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পলকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে ধানমণ্ডির বাসা থেকে পলকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে বিএনপি ঢাকা জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পলকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে কয়েকজন এসে তুলে নিয়ে যান। এসময় তারা সাদা পোষাকে ছিলেন এবং নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়েছেন।   

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘চলমান গণ-আন্দোলনে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের পতনের আশঙ্কায় এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে, নিরীহ মানুষসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের পাশাপাশি গুমের মতো চরম মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে যাচ্ছে।’

সার্বিক অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আর এ কারণেই জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি শাসক সেজে জনগণকে প্রজা বানিয়ে শাসন ও শোষণ করছেন।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন, অপহরণ ও গুম করে দেশে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে কর্তৃত্ববাদী সরকার। কিন্তু এটি এবার সম্ভব নয়। কারণ অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনে ক্ষিপ্ত জনগণ এখন জীবন-মরণ প্রতিজ্ঞা নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ ঘরে না ফিরতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘রেজাউল কবির পলকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনই তুলে নিয়ে গেছে। তাই তাদেরকেই রেজাউল কবির পলকে পরিবারের কাছে ফেরত দিতে হবে। রেজাউল কবির পল নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তার পরিবার এবং দলের নেতাকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাই অবিলম্বে তাকে জনসম্মুখে হাজির করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

এএইচআর/কেএ