রাজধানীর জিগাতলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরের সামনে যাত্রীবাহী ‘রমজান’ বাসে আগুনের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাত ১১টায় জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়ক প্রদক্ষিণ করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় হয়ে মিরপুর সড়কে শেষ হয়।

এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের অবরোধের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম (বাপ্পি)। তিনি বলেন, বিএনপি জনসম্পৃক্ততা হারিয়ে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা ক্ষমতার লোভে জনগণের জানমাল নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সব সময় রাজপথে সজাগ রয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতেও সজাগ থাকবে।

বিএনপির চোরা গুপ্তা হামলা চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, তারা আগুন দেওয়ার ক্ষেত্রে চোরাগোপ্তা হামলার পন্থা অবলম্বন করছে। এই চোরাগোপ্তা হামলা ঠেকানো কঠিন হয়ে যায়। একজন যাত্রী হয়ে যখন বাসে উঠে হামলা করে তখন তাকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে যায়। কিছুক্ষণ আগেও  জিগাতলার একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অপরাধীদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং জনগণ গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী অতীতের মতোই ভবিষ্যতেও রাজপথে সজাগ থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অন্যদিকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম।

তিনি বলেন, বিজিবি সদর দপ্তরের সামনে রমজান পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই স্পট থেকে একজনকে এবং পালিয়ে যাওয়ার সময় হাজারীবাগ এলাকা থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। তারা আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারাসহ জড়িতদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।

আরএইচটি/এমএ