যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, যতদিন বিএনপি-জামায়াত অবরোধ দেবে, যতদিন নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে, আমরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথেই থাকব। আমরা বার বার দাবি তুলেছি এই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আসল পরিচয় জানা জনগণের এবং আজকের প্রজন্মের অধিকার। আমাদেরকে এই অধিকার দিতে হবে।

সোমবার (৬নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির অবরোধের প্রতিবাদে যুবলীগের আসনভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি উপলক্ষ্যে ঢাকা-১৩ আসনের শ্যামলীতে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে পরশ বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী আজকে যে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে, তাদের আসল পরিচয় কী? তাদের আসল পরিচয় আলবদর, আল-শামস ও রাজাকার বাহিনীর সাথে তাদের সখ্যতা রয়েছে। যাদের হাতে লেগে আছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের দাগ, যা এখনো মুছে যায়নি। তাদের দোসর সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি। তারা এদেশকে একটি পশ্চাৎপদ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। 

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জিয়াউর রহমানের প্রকৃত ভূমিকা এবং সে কীভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে— এগুলো জানার জন্য একটি স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে তার প্রকৃত মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার। তারেক জিয়ার মুখোশ আজকে আপনাদের সামনে পরিষ্কার হচ্ছে, জিয়াউর রহমানও মুখোশধারী রাজাকার। সে আল-বদর, আল-শামস ও জামায়াতের দোসর। তার মুখোশ উন্মোচিত হবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে তারা (বিএনপি) তাদের সন্ত্রাসী রূপ উন্মোচিত করেছে, তাদের প্রতারকের মুখোশ উন্মোচিত করেছে। যে বিদেশে বসে রিমোট টিপে আন্দোলনের ডাক দেয়, সেই আন্দোলনে জনগণ শরিক নেই। সেই আন্দোলনে শরিক আছে সেই রাজাকার, আলবদর, আল-শামস, জামায়াত, মুসলিম লীগের নেতা ও সন্তানেরা। যারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী ছিল, যারা বাংলাদেশের ধ্যানধারণা ও চেতনায় বিশ্বাসী... তারা কখনো দেশের বিরুদ্ধে যাবে না।

শ্যামলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন। 

এদিকে, ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

এমএসআই/কেএ