বিএনপির অবরোধ : ফাঁকা আওয়ামী লীগের কার্যালয়
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলছে। অবরোধের প্রতিবাদে রাজধানীতে সকাল থেকে সতর্ক পাহারায় অবস্থানের কথা ছিল আওয়ামী লীগের। কিন্তু সকাল ৯টায় পর্যন্ত দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় ও গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ের সামনে কাউকে দেখা যায়নি।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ফাঁকা পড়ে আছে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। তবে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিযাজ উদ্দিন রিয়াজ দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে দেখা যায়। তাকে ছাড়া সেখানে আর কাউকে দেখা যায়নি। তারপর থেকে এক নেতাই পাহারায় রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
অপর দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনেও সকাল থেকে কাউকে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেন, আমি সকাল থেকেই মাঠে অবস্থান করছি। আমাদের নেতাকর্মীরা আসবে।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবং মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তাদের শরিকরাও এই অবরোধ পালন করবে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে এই ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিন (৩১ অক্টোবর-২ নভেম্বর) টানা অবরোধ পালন করে বিএনপি-জামায়াত। তার আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি ও এর শরিকরা।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করার পর একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপর্যুপরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হয়।
সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়।
এদিকে, হরতালের দিন এবং পরবর্তী কয়েকদিনে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এমএসআই/এসএসএইচ