দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ১২ দলীয় জোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দল দুইটির নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীসহ অনেকে।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের নেতারা বলেন, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংসদ বিলুপ্ত, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ এক দফা দাবিতে দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবরোধ পালন করেছে। 

তারা বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অধিকার আদায়ে আন্দোলনরত সাতজন নিরীহ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে এই অবৈধ সরকার। সারাদেশে গত কয়েকদিন যাবৎ নির্বিচারে নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে তল্লাশির নামে ভাঙচুর এবং নিরীহ পরিবার পরিজনদের অত্যাচার ও নিপীড়ন করা হয়। হাজার হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা সরকারের এই অবিবেচক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি অবিলম্বে বিএনপির শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ গ্রেপ্তার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন তারা। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এলডিপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি থেকে করে বিক্ষোভ মিছিল করে এলডিপি। মিছিলটি পল্টন মোড়ে গেলে পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

এলডিপি নেতারা অভিযোগ করেন, মিছিল থেকে এলডিপির তিনজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি বলেন, প্রায় দেড়যুগ ধরে ক্ষমতাসীন দলের অব্যাহত অগণতান্ত্রিক আচরণ, ভোটের নামে প্রতারণা ও ব্যক্তি শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী আচরণ দেশের মানুষকে আজকে এই এক দফার দিকে ঠেলে দিয়েছে। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোনোমতেই সুষ্ঠু নির্বাচন যে সম্ভব নয়, তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। আজকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি এতটাই দেউলিয়াত্বে পরিণত হয়েছে যে, পুলিশ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার সাহসও তারা হারিয়ে ফেলেছে।

এএইচআর/কেএ