রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের সড়ক অবরোধ-মিছিল
রাজধানীসহ দেশব্যাপী সড়ক, রেল ও নৌপথে টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকার মিরপুর, কারওয়ান বাজার, গুলশান, রামপুরা ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে অবরোধ, বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী।
নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এবং জামায়াতসহ বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে বাধা, উপর্যুপরি হামলা, গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় জামায়াত।
বিজ্ঞাপন
কেন্দ্রঘোষিত অবরোধের কর্মসূচির সমর্থনে দ্বিতীয় দিন বুধবার জামায়াতে ঢাকা মহানগরী উত্তরের মিরপুর অঞ্চলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করে।
অবরোধের সমর্থনে প্রথমে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কমার্স কলেজ হয়ে প্রশিকা মোড়ে গিয়ে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
পথসভায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেন, গণবিরোধী ও বিনাভোটের সরকারের বিরুদ্ধে বীরজনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে; সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনোভাবেই রাজপথ ছাড়বে না।
মাহফজুর রহমান বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। তারা জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি বরং ভিন্নমত দমনের জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীর মতো ব্যবহার করছে। সরকার জনগণের অবরোধ কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য দলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশ সদস্যদের যুগপৎভাবে মাঠে নামিয়ে সারাদেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শুরু করেছে। জনতার শান্তিপূর্ণ অবরোধের প্রথম দিনে কিশোরগঞ্জ ও সিলেটে ৩ জন বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে নির্মম নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শেওড়াপাড়ায় সড়ক অবরোধ
রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. মো. ফখরুউদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর কাফরুল ও মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় সড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।
কারওয়ান বাজারে জামায়াতের অবরোধ-বিক্ষোভ
ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের হাতিরঝিল-তেজগাঁও অঞ্চলের উদ্যোগে বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ৭টায় কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ, এর সমর্থনে মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে। ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য আমিনুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, নোমান আহমেদি, আহসান উল্লাহ, শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ, ছাত্রনেতা তানভির ও ফজলুর রহমান প্রমুখ।
মিরপুর ১১ সড়ক অবরোধ
ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ যুব কল্যাণ পরিষদের ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি নাসির উদ্দীনের মিরপুর ১১ নং-এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াত। এসময় উপস্থিত ছিলেন পল্লবী উত্তর থানা আমির সাইফুল কাদের, রূপনগর থানা আমির আবু হানিফ, জামায়াত নেতা হাসানুল বান্না চপল, রূপনগর থানা সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন ও পল্লবী মধ্য থানা সেক্রেটারি জোবায়ের হোসাইন রাজন।
গুলশান এলাকায় সড়ক অবরোধ-পিকেটিং
বনানী থানা জামায়াতের আমির মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্বে রাজধানীর বনানীর ৫ নং সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের গুলশান পশ্চিম থানার আমির মাহমুদুর রহমান আজাদ, জামায়াত নেতা আব্দুর রাফি, আ. মোতালেব মঈনসহ অন্যান্য নেতারা।
বাড্ডা নতুন বাজারে জামায়াতের অবরোধ
ঢাকা মহানগর উত্তরের জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নাজিমুদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে বাড্ডা নতুন বাজারে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। তারা বেশ কিছুক্ষণ পিকেটিং, রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
বিমানবন্দর-দক্ষিণখান সড়কে অবরোধ
সকালে বিমানবন্দর দক্ষিনখান সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। বিমানবন্দর থানা আমির অধ্যক্ষ এম এ হক মোল্লা, দক্ষিণখান থানা আমির ডা. এম এইচ রহমান, থানা সেক্রেটারি আলী হোসেন মুরাদ, বিমানবন্দর থানা সেক্রেটারি সুজারুল হক সুজন ও কে এম সাব্বির সওদাগরসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী কর্মসূচিতে অংশ নেন।
রামপুরা বাজারে জামায়াতের অবরোধ
রামপুরা উত্তরের নায়েবে আমির সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে বুধবার সকাল ৭টায় হঠাৎ রামপুরা বাজার এলাকার রাস্তায় নেমেই পিকেটিং, বিক্ষোভ ও মিছিল করে নেতা-কর্মীরা। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ ও পিকেটিং করে।
জেইউ/জেডএস