রাজধানীর উত্তরা, মহাখালী, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, তেজগাঁও ও সদরঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবরোধের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

মহাসমাবেশে বাধা দেওয়া, সরকারের পদত্যাগ, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাদের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানের সড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। রেলপথে অবরোধ সমর্থনে ব্যানার হাতেও দেখা গেছে পিকেটিং করতে।

ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিল-তেজগাঁও অঞ্চলের উদ্যোগে সকাল পৌনে ৮টা থেকে সোয়া ৮টা পর্যন্ত তেজগাঁও-মহাখালী রেলপথ অবরোধ করেন জামায়াতের কর্মীরা।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত অবরোধ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, আলাউদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা কলিম উল্লাহ, মনির আহমেদ, ছাত্রনেতা নাজিমুদ্দিন প্রমুখ।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের নেতৃত্বে খিলগাঁও সড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আবু সাদিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুল্লাহ আল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, আবু নাবিল, মতিউর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি তাকরিম হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

এছাড়া রাজধানীর সদরঘাট এলাকা অবরোধ করে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুরুন্নবী মানিক, কামরুল আহসান হাসানসহ অন্য নেতারা।

অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে পালনে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

জেইউ/এসএসএইচ