মির্জা ফখরুলসহ গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের মুক্তির দাবি বাসদের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাসসহ অন্য নেতাদের বাসভবন ঘেরাও, বিএনপি অফিসকে ক্রাইম সিন অঞ্চল ঘোষণা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ বিরোধী মত দমনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গণদাবি উপেক্ষা করে সরকার একগুয়েমি করে দেশকে সংঘাত-সংঘর্ষ ও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। যার পরিণতিতে গতকাল বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, সমাবেশ পণ্ড করে দেওয়া, সাংবাদিক, পুলিশসহ ৩ জনের প্রাণহানি, গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ,সাংবাদিকদের ওপর হামলা, হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে ফিরোজ বলেন, তদন্তের আগেই সরকারি দল, প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এক তরফা বক্তব্য বিবৃতি প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও শাস্তি প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। প্রথমে কাকরাইলে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি সমাবেশে পুলিশি হামলা, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে সমাবেশ পণ্ডু করা হয়েছে সে ঘটনায় ইতোমধ্যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গাড়ির চালকের বক্তব্যও সোশ্যাল মিডিয়াসহ কিছু কিছু গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফলে ঘটনার সত্যাসত্য নির্ণয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেশবাসীর কাছে তা প্রকাশ করা এবং ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে দুর্ভোগের সীমা নেই। অপরদিকে সহিংসতা-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা মূল্যবৃদ্ধি ও জনজীবনে সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে। সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা জনমনে গভীর শঙ্কা ও ভীতির সৃষ্টি করে চলেছে। গতকালের জেরে বিরোধীদের ডাকা হরতালে আজও সারাদেশে সংঘাত-সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে যা দ্রুত নিরসন হবে বলে মনে হয় না।
ওএফএ/এসকেডি