মির্জা ফখরুলকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
রোববার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তাকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
আটকের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, সকাল ৯টার আগে থেকে মহাসচিবের গুলশানের বাসার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় আসে, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ হার্ড ডিস্ক নিয়ে ভবনের নিচে চলে যায়। ঠিক দশ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায় তারা।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড অসুস্থ, তার চিকিৎসা চলছিল। এভাবে নিয়ে যাবে মেনে নিতে পারছি না, ৭৫ বছর বয়স্ক মানুষ। আশা করবো যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা করে যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। বাঁশের মাধ্যমে ব্যারিকেড দিয়ে কার্যালয়ের সামনের অংশকে ক্রাইম সিন ঘোষণা করা হয়েছে। কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
সকালে নয়াপল্টনে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়য়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ উল্লেখ করে কর্ডন টেপ দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে সিআইডি। তার দুই পারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অসংখ্য পুলিশ সদস্য।
এর আগে শনিবার বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল সমাবেশ করেছে। এসময় পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন ও পুরানা পল্টন মোড় এবং আশপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। আমিনুল নামে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যাও করা হয়। এ ঘটনায় পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
এএইচআর/এমজে