রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে ‘তুফান’ সাজে এসেছেন জয়পুরহাটের মোশারফ হোসেন। তিনি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ওয়ার্ড বিএনপির নেতা।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপির মহাসমাবেশে দেখা যায় মোশারফকে। ৬০ বছর বয়সী মোশারফ পুরো শরীরে রঙিন কাগজের ফিতা জড়িয়েছেন। তার মাথা জাতীয় পতাকা প্যাচানো। তাকে ঘিরে রয়েছেন উৎসুক মানুষ। 

মোশারফ নিজেই তার এই সাজকে ‘তুফান’ সাজ নাম দিয়েছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ‘তুফান’ সাজে এসেছি। 

এদিকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই নয়াপল্টনে জনতার ঢল নেমেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে রাজধানীতে অবস্থান করা নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন। 

দলটির নেতাকর্মীদের মিছিল, শ্লোগানে মুখরিত হয় গোটা নয়াপল্টন এলাকা। তাদের হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা দেখা গেছে। এদিন ভোর থেকেই নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পন্টন থানা পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

মহাসমাবেশে নাটোর থেকে আসা বিএনপি কর্মী গিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোরে আমরা শতাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছি। সরাসরি সমাবেশে এসেছি। পথে পথে তল্লাশি করা হয়েছে। ভয়কে জয় করে আমরা সমাবেশে এসেছি। 

নোয়াখালীর বিএনপি নেতা জায়েদ ইকবাল বলেন, শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আমরা সমাবেশে এসেছি।

রাজশাহীর মহিলা দলের নেত্রী পারুল বেগম বলেন, আমরা মাাইক্রোবাসে করে ঢাকা এসেছি। রাতে মাইক্রোর মধ্যেই কাটিয়েছি।

চাঁদপুরের ৬০ বছর বয়সী বিএপি কর্মী নাজমুল করিম বলেন, লঞ্চে আমরা কয়েকশ নেতাকর্মী চাঁদপুর থেকে এসে সদরঘাটে নেমেছি। তারপর সোজা মিছিল সহকারে সমাবেশে এসেছি। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই।

শুক্রবার রাতে ২০ শর্তে বিএনপিকে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

ওই মহাসমাবেশ থেকে পরবর্তী চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

সরকার পতনের একদফা দাবি ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আংশিক কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ থেকে আমাদের মহাযাত্রা শুরু হবে।

তিনি বলেন, ২৮ তারিখের মহাসমাবেশের পর আমরা আর থামব না। টানা কর্মসূচি চলবে। অনেক বাধা বিপত্তি আসবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে অশান্তির এ সরকারের পতন ঘটাব।

এমএইচডি/এমএসএ