আগামীকাল ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী। তাদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এসব নেতাকর্মীদের অনেকে পায়ে হাঁটার পাশাপাশি রিকশা ভাড়া করে মিছিল করছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে চারটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী শতাধিক রিকশা ভাড়া করে মিছিল করছেন। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। আবার অনেককে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উড়াতে দেখা যায়।

রিকশা মিছিলে অংশ নেওয়া নওগাঁ থেকে আসা যুবদল নেতা আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেক কষ্ট করে ঢাকায় এসেছি। কাল সমাবেশ থেকে নেতাদের দেওয়া কর্মসূচি ও নির্দেশনা নিয়ে বাড়ি ফিরবো। এবারের আন্দোলন সফল হবেই, ইনশাআল্লাহ।

রিকশা মিছিলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাই রিকশা নিয়ে মিছিল করছে। আমরা ৫০ টাকায় রিকশা ভাড়া করে মিছিল করছি। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।

জানা গেছে, বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুরো এলাকায় প্রায় ৬০টির মতো সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। 

বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ মনিটরিং করতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কাল ড্রোন দিয়ে সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত আছে।

এদিকে জুমার নামাজের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষ থেকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের জড়ো না হতে মাইকিং করা হয়। দলের শীর্ষ নেতার না সত্ত্বেও বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে নয়াপল্টনে এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।

বিএনপির এ মহাসমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশের গলিতে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে শুক্রবার বিকেলে নাইটিঙ্গেল মোড়ে ডিবি প্রধান হারুন উর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই সমাবেশের অনুমতি পাবে। তবে স্থানের বিষয়ে এখনই  কিছু বলা যাচ্ছে না। স্থানের বিষয়টি খুব দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে তাদের।

শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৪০২০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এএইচআর/এমজে