দেশে অপপ্রচার এখন তুঙ্গে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির আগামী ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ নিয়ে যেসব আলোচনা রয়েছে তা গুজব। আমরা এসবের কোনো গুরুত্ব দেই না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অপপ্রচার এখন তুঙ্গে। আর মিডিয়া সেই অপপ্রচারে সাহায্য সহায়তা করে। এখন শুনছি ২৮ তারিখ.... এর আগে একবার ১০ তারিখ ছিল। এসব আমাদের কানে আসে। ভারি কলস নড়ে চড়ে কম, হাল্কা কলসই বেশি বাজে। এখন হালকা কলস নড়াচড়া করছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশবাসী এত মূর্খ নয়। তারা যথেষ্ট পরিপক্ব। বিএনপির কেউ কিছু বলবে, আর মানুষ লাফাইয়া উঠবে এমন নয়। অনেক মিডিয়া এসব বড় করে দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু জনগণ এসব গ্রহণ করে না।
আরও পড়ুন
দেশবাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, কোনো প্রকার গুজবে কান দেবেন না। কয়দিন পর পর গুজব শুরু হয়, এই সরকার গেল। আমি একদিন বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে কাজের লোক আমাকে বলল স্যার, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছে। তখন আমি বললাম, এটা কোথায় পেলে? সে আমাকে সেলফোন দেখাল। এই ধরনের গুজব অনেক আছে।
এসময় মোমেন প্রধানমন্ত্রীর সন্তান জয়ের প্রসঙ্গও টেনে বলেন, একটি গুজব দেখলাম যে জয়কে আমেরিকা বের করে দিয়েছে। আমরা তখন ওয়াশিংটনে, এমন সময় গুজব ছড়ানো হলো যে, জয় সেসময় তার মাকে খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে তার দেখা হলো, সে দিব্যি আছেন। কোনো ধরনের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু সেই অপপ্রচার অনেকেই লুফে নিয়েছে।
দেশের জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় জনগণ কষ্টে রয়েছে বলে স্বীকার করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা যখন জনগণের কাছে যাই তখন তারা বলে, জিনিসপত্রের দাম বেশি, লোডশেডিং হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কঠিন সময়ে’ প্রধানমন্ত্রী সফরে যাচ্ছেন। এর ব্যাখ্যা জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মোমেন বলেন, সামনে নির্বাচন। আমাদের এখন জনগণের কাছে যাওয়াটাতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
এনআই/এমএ