কুমিল্লায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে ‌‘যুবলীগ-ছাত্রলীগে’র হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। এছাড়া হামলার ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি গঠন করেছে দলটি।

মঙ্গলবার ( ১৭ অক্টোবর ) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ১৬ অক্টোবর দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা মনে করে, সরকার তাদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এবং হামলার দায়ভার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন করছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি সদস্যরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যরিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যরিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

সভায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে গভীর রাতে দরজা ভেঙে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া সভায় অংশ নেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি