আযম খানের অভিযোগ
বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলে রেখে নির্বিঘ্নে নির্বাচন করতে চায় সরকার
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আহমেদ আযম খান বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীকে গায়েবি, মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় সাজা দিয়ে জেলে রেখে নির্বিঘ্নে ২০১৪ এবং ১৮ সালের আদলে আরেকটি নির্বাচন করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, সেরকম কোনো নির্বাচন দেশে হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সু-চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল।
বিজ্ঞাপন
এসময় আজম খান বলেন, আমাদের নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও কৃষিবিদ শামীমসহ ১৫ জন নেতাকর্মীকে সম্পূর্ণ গায়েবি মামলায় চার বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই সরকার পরিকল্পনা করেছে, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের আগে অন্তত এক লাখ বিএনপি নেতাকর্মীকে হয়রানিমূলক মামলায় সাজা দিয়ে জেলে রেখে নির্বিঘ্নে ২০১৪ এবং ১৮ আদলে আরেকটি নির্বাচন করার।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তারপরও সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি উপেক্ষা করে বিভিন্ন তালবাহানা করে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। আল্লাহ যেন তার কুদরতি শক্তি দিয়ে খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে তোলেন। এই ফ্যাসিবাদী সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, গতকাল ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমেরিকার মুরব্বিদের সঙ্গে কথা হয়ে গেছে, আর পিটার হাসের কিছু করার নেই। তিনি কিছুদিন আগে বলেছেন— নয়া দিল্লি আমাদের, আমরা নয়াদিল্লির। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন— ভারতে অনুরোধ করে এসেছি, শেখ হাসিনার সরকারকে যেন ক্ষমতায় রাখে। বিদেশি প্রভুদের ওপর নির্ভর করে করে তাদের ক্ষমতায় থাকার বাসনা দেশের মানুষ আর হতে দেবে না। আর ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে দেবে না দেশের মানুষ।
সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে রাত ৩টার সময় তিনবারের সাবেক এমপি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে তালা ভেঙে টেনে-হিঁচড়ে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই, আপনারা তো আমাদের ভাই, বন্ধু ও এ দেশের নাগরিক। আপনারা কেন জনগণের সেবক না হয়ে ফ্যাসিবাদের অনুগত হবেন? আপনারা রাষ্ট্রীয় বাহিনী হোন, ফ্যাসিবাদের বাহিনী হতে যাবেন না। আপনারাও গণতন্ত্রের একজন হয়ে যান, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দলের সভাপতি মো. রায়হানুল ইসলাম রাজু। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু হায়দার খানসহ অনেকে।
ওএফএ/কেএ