বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে এখন তলে তলে ষড়যন্ত্র করছেন। তলে তলে কখনও আপস হয় না, ষড়যন্ত্র হয়। বিএনপির আন্দোলন তীব্র হলে সরকার তলে তলে নিজেই তলিয়ে যাবে।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফাউন্ডেশন- বরিশাল বিভাগের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখন বলছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন-রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের এত মাথা ব্যথা কেনো? ক্ষমতায় থাকার জন্য আপনার যে মাথা ব্যথা, এজন্য দেশের মানুষ আপনাকে যে প্যারাসিট্যামল দিচ্ছে, সেই প্যারাসিট্যামল খেয়েও আপনার কিছু হচ্ছে না। এখন বিদেশি কোনো প্যারাসিট্যামল আপনাকে দেওয়া যায় বা সেবন করানো যায়, তাহলে দেখা যাক কি পরিস্থিতি হয়। এটাতে আপনি কেন এত বিচলিত বোধ করছেন? প্যারাসিট্যামল তো আপনার লাগবে। কারণ, আপনি সবসময় আতঙ্কে আছেন, সংশয়ে আছেন এই বুঝি গদি গেল।’

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলেই তার মাথা ব্যথা চরমভাবে শুরু হয়। জনগণের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আপনি অবাধ সুষ্ঠু ও নির্বাচন দিন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দিন, তাহলে আপনার মাথা ব্যথা কমে যাবে। কিন্তু তিনি এতে কর্ণপাত না করে বিদেশিদের মাথা ব্যথা নিয়ে চিন্তা করছেন।’

সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন না দিয়ে আবারো একতরফা নির্বাচনের চক্রান্তে লিপ্ত অভিযোগ করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এ কারণেই তারা বলছে, তলে-তলে আমাদের আপস হচ্ছে। তলে তলে আপস করেন আর যাই করেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, তলে তলে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার নিদর্শন অতীতে নেই। জনগণের শক্তির কাছে আপনার পরাজয় হবেই। আপনি আজকে নানা কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। আপনি এক দেশ ছেড়ে আরেক দেশকে ভালো বানানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনো লাভ নেই, কারণ নিজের দেশের জনগণ যার পক্ষে থাকে না, সে কখনোই টিকে থাকতে পারে না।’

এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফাউন্ডেশন- বরিশাল বিভাগের সভাপতি অ্যাড. আলী আসগর ফকির। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলমসহ অনেকে।

ওএফএ/কেএ