তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণের ওপর বিএনপির কোনো ভরসা নেই। ধীরে ধীরে তাদের সমাবেশ ছোট হয়ে আসছে। এজন্য ঘনঘন তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তাতে বলা হয়েছে যারা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিপক্ষ হবে তারাই এই ভিসা নীতির মধ্যে আসবে। এখন নির্বাচনে বাধা দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে বিএনপি। বিএনপি বলছে নির্বাচন প্রতিহত করবে। তাহলে কারা এই ভিসা নীতির আওতায় আসবে, প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী?

তিনি বলেন, ভিসা নীতিতে সরকার কিংবা আমাদের দল কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। এটির পরিপ্রেক্ষিতে বরং বিএনপির ওপরই চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছে অক্টোবরে নাকি ফাইনাল খেলা হবে। আমরাও ফাইনাল খেলার জন্য বসে আছি। কিন্তু ফাইনাল খেলার আগে বিএনপি দেখতে পাবে তাদের খেলার টিমে ১১ জন নেই। আগামী কয়েক সপ্তাহে দেখতে পাবেন বিএনপির খেলোয়াড়রা টিম ছেড়ে অন্যদলে পালিয়ে গেছে। যে পথে তাদের নেতা শমসের মবিন ও তৈমুর আলম খন্দকার গেছেন, সেভাবে আরো অনেকেই পালানোর তালিকায় আছে।

তিনি বলেন, আজকে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি কয়দিন গণমিছিল, কয়দিন অবস্থান, আবার কয়দিন হাঁটা, কয়দিন দৌড় কর্মসূচি, কয়দিন বসা কর্মসূচি দেয়। এখন বিএনপির বাকি আছে হামাগুড়ি কর্মসূচি দেওয়া। তারা কর্মসূচি দিয়ে দিয়ে বলে সরকারের পতন ঘটাবে। সরকারের পতন ঘটাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে।

বিদেশি বন্ধুদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই দেশ আমাদের, এদেশে নির্বাচন কীভাবে হবে সেটি আমরা ঠিক করবো, নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। আমাদেরকে গণতন্ত্র কাউকে শেখাতে হবে না। আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা জানি। কীভাবে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষা নির্বাচন হয় সেটিও আমরা জানি। দেশে অবশ্যই আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। সেই নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে আবারো শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার প্রধান হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন।

যুবলীগকে আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড শেখ হাসিনার অগ্রগামী বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি রাঙ্গুনিয়ায় এখন গর্তের মধ্যে ঢুকে আছে। গর্তের ভেতর থেকে মাথা তুলে উঁকি দেয়। গর্ত থেকে যাতে বের হতে না পারে সেজন্য যুবলীগকে সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। তারা করোনাসহ কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে রাঙ্গুনিয়ার কারো পাশে দাঁড়ায়নি।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচের সঞ্চালনায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল ইসলাম, প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ ও সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

এমআর/জেডএস