ফাইল ছবি

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, গণতন্ত্রের মাতা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তার অবস্থা গতরাতে ক্রিটিক্যাল হয়ে পড়েছিল, আজকে একটু ভালো হলেও এখনও ক্রাইসিসের বাইরে নন। তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দরকার, যা এদেশে নেই।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের দাবি-জীবন রক্ষার্থে অবিলম্বে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানো হোক। তা না হলে সব দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। 

হাসপাতালে খালেদা জিয়ার দেখভাল করছেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, তার বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, স্ত্রী কানিজ ফাতেমা।

এদিকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ জানান, মেডিকেল বোর্ড সর্বসম্মতভাবে তাদের আগের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে যে, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে অতিদ্রুত বিদেশে লিভার প্রতিস্থাপন সুযোগ সম্বলিত আধুনিক মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া জরুরি। তাহলেই তিনি শঙ্কামুক্ত হতে পারেন বলে বোর্ড তার রিকমেন্ডেশনে বলেছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন অসুস্থ। সেজন্য তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে আছেন। ম্যাডামের লিভার, কিডনি, হার্ট, ফুসফুসসহ সার্বিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে এক পর্যায়ে সিসিইউতে নিতে হয়। সিসিইউর চিকিৎসা পরবর্তী এখন তিনি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। 

গত ৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি, লিভার জটিলতায় ভুগছেন।

এএইচআর/জেডএস