দেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিনা শর্তে স্থায়ী মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠাতে সরকারের কাছে আবারও আবেদন করেছে তার পরিবার। এক চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে এ আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দুদিন আগে খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে তাকে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।

সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়া ভাই শামীম ইস্কান্দারের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, বেগম জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে অ্যাডভান্স মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। তাই সব শর্ত শিথিল করে তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি ও বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিতে সরকার কাছে আবেদন জানানো হয়। 

এদিকে চিঠির বিষয়ে জানতে খালেদা জিয়া ভাই শামীম ইস্কান্দারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় কোনও উন্নতি হয়নি বলে জানা গেছে। আগের মতো তাকে হাসপাতালে কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। রাত পৌনে ১২ টার দিকে তিনি হাসপাতালে থেকে বেরিয়ে যান। 

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনও পরিবর্তন নেই। আগের মতো আছেন। যার কারণে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। আসলে ম্যাডাম অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত। ফলে, আজ একটা সমস্যা দেখা দিচ্ছে তো কাল আরেকটার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যার কারণে চিকিৎসকরা বারবার তাকে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলছেন।’ 

মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন- খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্‌রোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। এছাড়া গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। তার একটিতে রিং পরানো হয়। 
  
এএইচআর/এমএসএ