বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমানসহ বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলার নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরনো মামলা সচল করে দ্রুত নিষ্পত্তি করে সাজা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের নিচতলায় খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারও পাতানো নির্বাচন করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো স্যাংশনসহ ভিসা নীতি আরোপ করছে। দেশের মানুষ যখন নিজ অধিকার আদায়ে জেগে উঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে তখনই আবার শুরু হয়েছে দমন নীতি। শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা। যে কর্মীকে আটক করা হচ্ছে, পরেরদিন তাদের সহিংসতার মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

কিছু-কিছু সম্পাদক বুদ্ধিজীবী-শিক্ষক সরকারকে ডিফেন্ড করে কথা বলছেন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। সেই সবক দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি তাদের আহ্বান করব, আপনারা জনগণের কাতারে আসুন। জনগণ কী চায় তা শুনুন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থা এখন রাখাল বালকের কথা মতো, তাদের কেউ বিশ্বাস করে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করেন। অল্প দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি