প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে দেশের ৭০ ভাগ মানুষ উন্মুখ হয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্র মহা সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে দেশে-বিদেশে কত ষড়যন্ত্র, কত চক্রান্তের খেলা। তারা (বিএনপি) জানে যে, দেশের ৭০ ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সেজন্যই নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে হারানো যাবে না। এ কারণেই চক্রান্ত করে ক্ষমতা থেকে হঠানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। তারা বিদেশিদের দিয়ে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি প্রয়োগ করতে চাইছে। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার উন্নয়নের কৃতি তারা মুছে ফেলার চক্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই এদেশে গণতন্ত্রের মুক্তি ঘটেছিল। তিনি এসেছিলেন বলেই এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। তিনি না থাকলে এ দেশ কখনো উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হতো না। শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে না পারলে আজ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তির স্বপ্নে বিভোর হতে পারত না। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর ১৫ বছর পরের বাংলাদেশের মধ্যে একটি বিশাল রূপান্তর হয়েছে। এ উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। 

তিনি আরও বলেন, আজ সারা বাংলাদেশ থেকে আসা তারুণ্যের ঢল এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আজ বঙ্গবন্ধুরকন্যার ডাকে সবাই একত্রিত হয়েছে। তিনি বারে বারে মৃত্যুমুখেও জীবনের জয়গান গেয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে বারে বারে সৃষ্টির পতাকা উড়িয়েছেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি সারা বিশ্বে মানবতার মা হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের আকাশে তিনি শান্তির পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত হয়েছিলেন। গত ৪৮ বছরে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো এত জনপ্রিয় নেতা আর একজনও আসেনি। গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সৎ রাজনীতিক শেখ হাসিনা। দেশের ইতিহাসে গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক ও সাহসী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম শেখ হাসিনা। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান তার এই বিএনপি জন্ম দিতে গিয়ে সেই অনুষ্ঠানে উচ্চারণ করেছিলেন যে, পাকিস্তানের মতো ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র বানাব। আজকের এই বাংলাদেশকে তারা পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে জেনারেল এরশাদ, খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টে কেক কেটে ভুয়া জন্মদিন পালন করে বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিয়ে চেয়েছিল। সেই ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ৪৮ বছর পর আজ ঐতিহাসিক এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশে দাঁড়িয়ে বলছি— রক্তাক্ত বিদায়ের ৪৮ বছর পরেও বঙ্গবন্ধু তোমাকে কেউ মুছে ফেলতে পারেনি। এখনো তুমি বাংলার তারুণ্যের হিমালয়। যতদিন এ বাংলায় চন্দ্র-সূর্য উদয় হবে, পাখিরা গান গাইবে, নদীর কলরব, পাখির কলতান থাকবে... ততদিন এই কৃষ্ণচূড়া-শিমুলের বাংলায়, কৃষকের লাঙ্গলের ফলায় ও লালনের দোতারায় বঙ্গবন্ধু তুমি থাকবে। তোমার স্মৃতি, তোমার কৃতিত্ব ও বীরত্ব এই বাংলায় কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।

আজ (শুক্রবার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ করছে ছাত্রলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাও এতে উপস্থিত রয়েছেন।

এমএম/কেএ