আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের কাছে আমি জানতে চাই, শেখ হাসিনার বিকল্প প্রধানমন্ত্রী কে আছেন? তার মতো জনদরদি নেতা কে আছেন? আমি সব দলের কাছে জানতে চাই, শেখ হাসিনা ছাড়া যোগ্য নেতা কে আছে? বিএনপি কাকে নেতা বানাবে?

শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মিরপুর দারুস সালাম বালুর মাঠে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, জনগণ কি চায় শেখ হাসিনা পদত্যাগ করুক? আদালতের আদেশে কেয়ারটেকার সরকার কবরে ঘুমিয়ে আছে। সেটা কি আর এ দেশের জনগণ চায়? তারা (বিএনপি) কেন চায়? আসলে তাদের মুখে মধু অন্তরে বিষ। তারা বলে ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হবে না। কী সুন্দর কথা! এমনিতে তারা আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে। তারা ক্ষমতায় আসলে বাকিটা এক রাতের মধ্যে শেষ করে দেবে। বিএনপির তিনটি গুণ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মানুষ খুন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসীদের দল। আমরা বলছি না, কানাডার আদালত বলছে। তাদের হাতে রক্তের দাগ। অথচ তারা আজ মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে। মোশতাক ও জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে বাসায় গিয়ে এসি রুমে ঘুমাচ্ছে, টিভিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা দেশের পতাকাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। অথচ তারা এখন মানবাধিকারের কথা বলছে! মনে হয় তারা খাঁটি ফেরেশতা, তাদের মতো ভালো মানুষ এই পৃথিবীতে নেই।

বিএনপি নেতাদের কোনো ঈমান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমানুল্লাহ আমান ফলের রস খেয়ে সব ভুলে গেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসেছেন। গয়েশ্বর কিশোরগঞ্জের কোরাল মাছ খেয়ে খুশি হয়েছেন। কিছু প্যাকেট বাড়ির জন্যও নিয়ে গেছেন। এগুলো ওপেন, ছবি আছে।

মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেখলে মনে হবে বিদেশে আছি। শেখ হাসিনা জনগণের প্রতি যে প্রতিজ্ঞা করেন তা রক্ষা করেন। সামনে তারা চোখে অন্ধকার দেখবে। তাদের ভোট দিলে তারা বাংলাদেশকে গিলে খাবে। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বানাবে। তারা আছে সেই ধান্দায়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা হারলে বাংলাদেশ হেরে যাবে, গরিব মানুষ হেরে যাবে, স্বাধীনতা হেরে যাবে। তাই তাকে বিজয়ী করতে হবে। তিনি হেরে গেলে বাংলাদেশর উন্নয়ন হেরে যাবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা খালি হাতে লড়ব। তবে আগুন হাতে আসলে আমরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করব।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি। 

এমএসআই/এসকেডি