ফাইল ছবি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার জবাব দিতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে পুনর্গঠনের কাজে হাত দিয়ে জাতির পিতা যখন দেশের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সকল অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে দেশকে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যার যথোপযুক্ত জবাব যদি আমরা দিতে চাই, তাহলে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সেটি সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এলজিআরডি মন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বেঈমান অকৃতজ্ঞ ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু না থাকলেও আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ করে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের সঠিক জবাব দিতে পারি। 

বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে যখন তিনি শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করেছিলেন তখন বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৯৪ ডলার মাথাপিছু আয় থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে জাতির পিতা বাংলাদেশকে ২৭৭ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশে পরিণত করেছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত ও তরুণ ছাত্রসমাজই পারে সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে। তিনি জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন ২০০৯ সালে শাসনভার গ্রহণ করে তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু গড় আয় ছিল ৭০০ ডলার আজ ১৫ বছরের মাথায় তা ২ হাজার ৮২৪ ডলারের উন্নীত হয়েছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনও সম্পূর্ণ করেছে। ‘এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ হওয়া’।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিশেষ আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

এমএ