ওই মহিলা আমগো শহীদুল ভাইয়ের ওয়াইফ : স্ত্রীকে মামুনুল
‘ওই মহিলা যে ছিল সাথে সে হইলো আমগো শহীদুল ইসলাম ভাইয়ের ওয়াইফ। তুমি বইলো হ্যাঁ আমি সব জানি।’ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার পর ফোনে স্ত্রীকে এমনটাই বলছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
ইতিমধ্যেই ফোনালাপের রেকর্ডটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফোনালাপে রিসোর্টের ওই নারীকে জনৈক শহীদুল ইসলাম ভাইয়ের স্ত্রী বলে সম্বোধন করেছেন মামুনুল।
বিজ্ঞাপন
মামুনুল হক ও তার স্ত্রীর ফোনালাপ
মামুনুল হকের স্ত্রী : আসসালামু আলাইকুম
মামুনুল হক : ওলাইকুম সালাম ওয়া রহমতুল্লাহ। পুরা বিষয়টা আমি তোমাকে সামনে আইসা বলবো। ওই মহিলা যে ছিল সাথে সে হইলো আমগো শহীদুল ইসলাম ভাইয়ের ওয়াইফ। বুঝছো? ওইটা নিয়া এমন একটা মানে অবস্থা এরকম তৈরি হইয়া গেছে যে এই কথা বললে তারা ওখানে মানে ই কইরা ফেলছিল আমাকে।
মামুনুল হকের স্ত্রী : আচ্ছা, বাসায় আসেন, তারপর যা বলার তারপর বইলেন।
মামুনুল হক : বলুম তো। তুমি বিষয়টা মানে অন্যান্য কথা বলতে হইবো, পরিস্থিতিটা এমন হইয়া গেছে। এখন এই জন্য তুমি আবার মাঝখান দিয়া অন্যকিছু মনে কইরো না। তোমাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে তুমি বইলো হ্যাঁ আমি সব জানি। এইরকম কিছু একটা বইলো।
মামুনুল হকের স্ত্রী : ঠিক আছে।
মামুনুল হক : আচ্ছা। আসসালামু আলাইকুম।
এর আগে সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল হক।
মামুনুল হক অবরুদ্ধ এমন খবর শুনে সেখানে সন্ধ্যার পর জড়ো হতে থাকেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে রয়েল রিসোর্টে হামলা চালান। এতে রিসোর্টের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) তবিদুর রহমানসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। একপর্যায়ে মাওলানা মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান বিক্ষুব্ধ হেফাজতের কর্মীরা। পরে মিছিল করেন তারা।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোশাররফ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামুনুল হককে থানায় নেওয়ার পথে রিসোর্টে হামলা চালান হেফাজতের কর্মীরা। পরে মামুনুল হককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান হেফাজতের কর্মীরা।
এমএইচএস