তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মেজর জিয়া বলতে একজন আছে, তার নেতৃত্বে সমস্ত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানুষ বিএনপিতে যোগদান করেছে। সম্মান রেখে বলতে চাই, মির্জা ফখরুলের বাবাও একজন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানুষ ছিলেন এবং প্রথমদিকে তিনিও তা ছিলেন।

রোববার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ৭৫ সালের আগে জনগণ জিয়াউর রহমান কে তা জানত না। তিনি তার জীবদ্দশায় বলেননি যে স্বাধীনতার ঘোষণা তিনি পাঠ করেছেন। মূলত জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের অনুচর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, মুজিব হত্যায় সবচেয়ে বেনিফিশিয়ারি পরিবার হচ্ছে জিয়াউর রহমানের পরিবার এবং তারা এই হত্যাকাণ্ডে যুক্তও ছিলেন। না হলে মুজিব হত্যাকারীদের দেশে-বিদেশে নানা চাকরিতে পুনর্বাসন করা হতো না কিংবা দেশত্যাগে তাদের সহায়তা করা হতো না। এমনকি মুজিব হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে তা আইনে রূপান্তর করে বিল আনা হয় এবং তা পাস করানো হয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন ঘৃণার রাজনীতি চলছে। নইলে বেগম জিয়া তার জন্মদিনের তারিখ পরিবর্তন করলেন কেন? জনগণের ধিক্কারে এখন হয়ত কেক কাটা কমেছে কিন্তু পালন করা বন্ধ হয়নি। এসবই করছেন মুজিব হত্যাকে উপহাস ও সাপোর্ট করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, এই যে ঘৃণার রাজনীতি চলছে, সেটা বন্ধ করা না গেলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে না। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ উপলক্ষ্যে অনেক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে ঠিক, তবে কেউই কিছু করতে পারবে না।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

ওএফএ/এসএসএইচ/