নির্বাচন নিয়ে ভারত কোনো মন্তব্য করেনি : কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারত কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভারত ফেরত প্রতিনিধি দলের সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের ভূমিকা কী থাকবে, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারত পার্শ্ববর্তী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের কানেকটিভিটি অনেক বেশি। বাংলাদেশে কী হচ্ছে তারা সবকিছু জানে। রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কিছু বিষয়েও তারা জানে। তাদের আগ্রহ আছে। নির্বাচন করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সরকার। এখানে ভারতের কিছু করার নেই। ভারত নির্বাচনে কী করবে? তাদের কিছু করার নেই। তাই তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
বিএনপি প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারা বিদেশিদের উপর নির্ভর করে এখন দেখেছে যে কিছু নেই, পানিতে ডুবে যাবে। বাংলাদেশের মানুষই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ রাজনীতি কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।
আরও পড়ুন : ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক উঁচুতে : আব্দুর রাজ্জাক
জাতীয় নির্বাচনের আগে জামায়াত-বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে কি না, এ বিষয়ে ভারতের পর্যবেক্ষণ কী বলছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রাষ্ট্রের বিষয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিষয়। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনীর এগুলো দেখে। ভারত তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পারে, তবে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা যাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। বিরোধীদের যে সমস্ত দাবিগুলো আছে সেগুলোর প্রয়োজন নেই এটাও তারা বুঝে। তারা মনে করে, সংবিধান আলোকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট বাংলাদেশ হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, দুই দেশের গোয়েন্দাদের মাঝে জঙ্গিবাদ দমনের জন্য যোগাযোগ রয়েছে এবং সহযোগিতা রয়েছে। সহযোগিতা আছে বলে তাদের আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, ভারতের জন্য চীন সবসময় দুশ্চিন্তার কারণ। তাদের সীমান্তে মাঝেমধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের ফরেন পলিসি হচ্ছে, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। ভারতের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্কটা রক্তের অক্ষরে লেখা। এই সম্পর্কের সঙ্গে আর কারো সম্পর্ক তুলনীয় নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির বিদেশ প্রীতি তাদের আছে ধর্না দেওয়াই কমেনি। সেটি করে যে কোনো লাভ হচ্ছে না সেটা অনুধাবন করতে পেরেছে। সেজন্য এই সুরে কথা বলছে। আমরা ভারত গিয়েছি আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তারা (বিএনপি) নিজেরা ধর্না দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যায়।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, দলীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএসআই/এসকেডি