হেফাজতে ইসলামের আমির হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদিস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, ‘হেফাজতের আন্দোলন দেশবিরোধী নয়। আমরা দেশকে ভালবাসি। দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

তিনি বলেন, ‘আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালিয়ে চরম ব্যর্থতা ও বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে। শহীদদের রক্ত কখনও বৃথা যেতে পারে না।’

শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা হেফাজত আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবুনগরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘মোদিকে খুশি করার জন্য যারা দেশের নিরপরাধ প্রতিবাদী নাগরিকদের হত্যা করতে দ্বিধা করে না, তারা জালিম ও অত্যাচারী। যারা ধর্ম ও মানবতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে না, তারা জনগণের কাছে সবসময় ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যাত। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশে একদিন ইসলামের বিজয়-পতাকা উড়বেই।’

১১ জন বিশিষ্ট নাগরিক পক্ষপাতমূলক বক্তব্য দিয়েছেন উল্লেখ করে হেফাজত আমীর নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘দেশপ্রেমিক ও ধর্মপ্রাণ প্রতিবাদী জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে একদল গণবিচ্ছিন্ন তথাকথিত বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিকে আমরা অমানবিক, উস্কানিমূলক ও গণবিরোধী বলে সাব্যস্ত করছি। এই বিবৃতি স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের নির্লজ্জ দালালির প্রমাণ বহন করে।’

নিহতদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাবুনগরী বলেন, ‘যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহতদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে করতে হবে।’

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস প্রমুখ। এদিকে, হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সড়কে ব্যারিকেড দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য সড়কে মোতায়েন করা হয়। 

কেএম/আরএইচ