দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলেই রাজপথে নামবে হেফাজত
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, হেফাজত কারও তল্পিবাহক নয়। মনঃপূত না হলেই তাদের কাছে হেফাজত ‘আজ বিএনপির কাল জামায়াতের’ হয়ে যায়। এটা ঠিক নয়। যখনই দেশের বিরুদ্ধে, ঈমান-আকিদার বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে তখনই হেফাজত কারো রক্তচক্ষু পরোয়া না করে রাজপথে নেমে আসবে।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। মামুনুল হক বলেন, ‘ভয় দেখিয়ে হেফাজতকে দমিয়ে রাখা যাবে না। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া মানে হেফাজত, বাংলাদেশ মানে হেফাজত। ২০টি মায়ের বুক খালি হলো। আইজিপি আপনাকে তো শোক প্রকাশ করতে দেখলাম না। কারণ তারা তো মানুষ নয়, হেফাজত।’
বিজ্ঞাপন
বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতের অর্থ সম্পাদক মাওলানা মনির হোসেন কাসেমী বলেন, ‘ভালোয় ভালোয় ছাত্রলীগকে সামলান। ওরাই আপনার (প্রধানমন্ত্রী) মসনদ নাড়িয়ে দেবে। জনগণের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে মোদিতে এত মধু কেন? টাঙ্গাইলের পীরের ওপর হকিস্টিকের আঘাত কত তেতো, সময় হলে বুঝবেন।’
হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশটাকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। প্রতি বিন্দু রক্তের হিসাব নেওয়া হবে। এরশাদ গেছে, খালেদা জিয়াও গেছে, আপনাকেও জেলে যেতে হবে। বেশি দেরি নেই, অপেক্ষা করুন।’
সংগঠনটির নায়েবে আমির ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা রক্তের বদলা নিতে চাই। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, হেলমেট বাহিনী হামলা করেছে। তাদের গ্রেফতার করেননি। যারা মোদিকে রক্ষার আন্দোলনে নেমেছিল তাদের ঠেকাতে হবে। দেশকে মুক্ত করতে হবে। আজ আমাদের শপথ নিতে হবে ইসলামী সমাজ কায়েমের জন্য। ভারতীয় তাঁবেদারদের রুখতে হবে।’
হেফাজতের অন্যতম নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি মিডিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা মিডিয়া লীগ হবেন না। আপনারা কে কী প্রচার করেন তা জানি। হেলমেট লীগ না হয়ে জনতার কাতারে আসেন।’
সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সভাপতি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জোনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী রাতে তল্লাশি করে। যাদের ভাই জীবন দিয়েছে তারাই রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেন না। জামেয়া ইসলামীয়াতে যেই মুক্তাদির চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে হামলা হলো, তাকে গ্রেফতার করা হলো না। মুক্তাদির চৌধুরী খুনি। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে গত বছর মসজিদে ভালো করে নামাজ পড়তে দেননি। আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। করোনার অজুহাতে মাদরাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদি এমন পাঁয়তারা করেন তাহলে মাঠে নেমে আসবে হেফাজত। ভুল করেও মসজিদ-মাদরাসা বন্ধের চেষ্টা করবেন না।’
জেইউ/এসএসএইচ/জেএস