‘প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় আ.লীগ'
প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আবারও নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে অবৈধ শেখ হাসিনার সরকার। আবারও পাঁয়তারা শুরু করেছে, আরও একটি নির্বাচন করবে, প্রত্যেকদিন খবরের কাগজ খুললে দেখবেন ডিসি-এসপির পরিবর্তন, প্রশাসনে হাজার-হাজার লোককে পদোন্নতি। বোঝেন না, একটাই উদ্দেশ্য-আগের মতো সেই প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে আবারও নির্বাচনী বৈতরণী পার হবে। এবার আর সেটা হবে না।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক পেশাজীবী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
এবার বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে দেশে গণতন্ত্র নেই। প্রমাণ হয়েছে গত দুটি নির্বাচনে (২০১৪ ও ২০১৮) সম্পূর্ণভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এবার অবশ্যই জনগণের ভোটের নির্বাচন হতে হবে। এবার জনগণকে ভোট দিতে হবে। এজন্য সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
এখনি সরকার গিলি করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এখনি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাতে বাড়িতে থাকতে দেয় না। হাইকোর্ট থেকে জামিনের বের হয়ে বাসা যেতে পারে না, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তা করে আটকানো যাবে না। বন্যার পানি যেমন আসতে থাকে, এবার তেমনি মানুষ আসছে। মানুষের যে দুর্বার আন্দোলন, তরঙ্গের পর তরঙ্গ সৃষ্টি করে এদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
পুলিশসহ প্রশাসনকে তাদের বিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে আবারও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
এখন জনগণ ও সমস্ত রাজনৈতিক দল এক হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা যুগপৎ আন্দোলন করছে, যারা করছে না- বাইরে আছে, তারাও বলছে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
বিচারবিভাগকে সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, আমার তো মাঝে-মধ্যে মনে হয় সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের জায়গা হচ্ছে এই বিচার ব্যবস্থা। প্রতিদিন গায়েবী মামলার জামিনের জন্য গেলে দেয় না তারা। কোর্টে নিয়ে পাঠিয়ে দেয় কারাগারে। কারাগারে এখন আরেক নির্যাতন শুরু হয়েছে, মধ্যেযুগীয় বর্বরতা।
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। বলেন, আজকে তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির বর্তমান যুদ্ধ-সংগ্রাম তারেক রহমান কিংবা মির্জা ফখরুলের জন্য নয়। দেশের জনগণের অধিকার আদায় করার জন্য।
গত কয়েক বছরে বর্তমান সরকার ৫৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে বলেও দাবি করেন বিএনপির মহসচিব। তিনি বলেন, কয়েক হাজার সাংবাদিক গ্রেপ্তার, নির্যাতন করেছে। কারও-কারও হাত-পা ভেঙে দিয়েছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করে আয়োজক সংগঠকের আহ্বায়ক ডা. জাহিদ হোসেন, আর সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।
এএইচআর/এসএম