আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস/ ঢাকা পোস্ট

কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পিটার হাস ও ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি আওয়ামী লীগ, অন্যান্য দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। সবাইকে আমি মার্কিন নীতির কথা জানিয়েছি। আওয়ামী লীগসহ সবাইকে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য বলেছি।

পিটার হাস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো একটি নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে না। আমরা যা সমর্থন করি তা হলো একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যা বাংলাদেশের জনগণকে তাদের পরবর্তী সরকার বেছে নিতে সাহায্য করবে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে এ বৈঠক বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে আমি যেসব বৈঠক করেছি তার অংশ। আমি অন্যান্য রাজনৈতিক দল, মিডিয়া আউটলেট, সুশীল সমাজ, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এটিও মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি যা করি তার অংশ। 

প্রতিটি মিটিংয়ে আমি একই বার্তার পুনরাবৃত্তি করেছি এবং এটি আমাদের নীতি যে আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ, কারও পক্ষ থেকে কোনো সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনকে সমর্থন করি, বলেন পিটার হাস।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সবার ভূমিকা রয়েছে। সরকারের ভূমিকা আছে, মিডিয়ার ভূমিকা আছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও বিচার বিভাগ, সিকিউরিটি ফোর্সেস (নিরাপত্তা বাহিনী) এবং অবশ্যই ভোটারদের ভূমিকা আছে।

বিবেকের চাপ অনুভব করছি, বিদেশি চাপ নয় : কাদের

এদিকে বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিদেশিদের কোনো চাপ অনুভব করছে না, আওয়ামী লীগ নিজেদের বিবেকের চাপ অনুভব করছে।

তিনি বলেন, আমরা চাপ অনুভব করব কেন? ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করা আমাদের কমিটমেন্ট। এখানে চাপ অনুভব করব কেন? যদি বলেন চাপ, তা হলো বিবেকের চাপ।

তিনি বলেন, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন লেনদেন আছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। আমেরিকার মান্যবর রাষ্ট্রদূত আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তারা আমাদের এই অফিসে আগে কখনো আসেননি। তিনি এলেন, দেখে গেছেন। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এমএসআই/জেডএস