তারেক-জোবায়দার মামলার রায় ঘিরে সতর্ক থাকবে আ.লীগ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের মামলার রায় ঘোষণা হবে বুধবার। এ রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি যেন কোনো প্রকার সন্ত্রাসী ও অরাজক কর্মকাণ্ড করতে না পারে সে জন্য সতর্ক অবস্থানে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আগামীকাল বুধবার বেলা ১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ মিছিল করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। উপস্থিত থাকবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার দিন বুধবার (২ আগস্ট) ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : যে শাস্তি পেতে পারেন তারেক-জোবায়দা
গত ২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। একইসঙ্গে আজ এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
তারেক-জোবায়দাকে ফরমায়েশি সাজার আশঙ্কা ফখরুলের
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে সরকারের নীল নকশা অনুযায়ী সাজা দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অতীতে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অনেক নেতাকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের মামলার সাজা চলমান আন্দোলনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহে আশঙ্কা করছি যে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে সরকারি নীল নকশায় মিথ্যা মামলায় হয়তবা সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ এই মামলা চলার মতো কোনো আইনগত উপাদান নেই। কেননা তারেক রহমানের প্রদেয় সম্পদ বিবরণী যা ২০০৭ সালে জমা দেওয়া হয়েছিল সেই সম্পদের পুরো আয়কর জমা দেওয়া হয়েছিল। ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, ৩৫ লাখ টাকা এফডিআর, ওই এফডিআর মামলা দায়েরের আগেই (২০০৫—২০০৬) অর্থ বছরের ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়া হয়েছিল। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ আদালতে চলমান এই মামলায় অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে সাক্ষী নিয়ে রায় প্রচারের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। দেশে লাখ-লাখ মামলার জট থাকলেও তাদের এই মামলায় ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রাত ৮টা—৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাক্ষী নেওয়া হয়েছে।
এমএসআই/এসকেডি