মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় আসা নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে এক দিন এগিয়ে আনা হয়েছে বিএনপির কর্মসূচি। দলটির নেতারা বলছেন, আগে সিদ্ধান্ত ছিল শনিবার (২৯ জুলাই) আশুরার দিন কর্মসূচি না রেখে পরের দিন রোববার থেকে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি শুরু করার। কিন্তু একদিন মাঝে পড়ে গেলে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় আসা নেতাকর্মীদের ধরে রাখা সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে আন্দোলন নিয়ে তাদের মধ্যে যে উদ্দীপনা বিরাজ করছে তাতেও ভাটা পড়ে যাবে। তাই সবদিক বিবেচনা করে কর্মসূচি এক দিন এগিয়ে আনা হয়েছে।

বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাতে বিএনপির পক্ষে থেকে জানানো হয়েছিল যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি শুরু হবে রোববার থেকে। শনিবার (২৯ জুলাই) ছুটির দিন হলেও আশুরার কারণে কর্মসূচি দেওয়া হবে না। কিন্তু আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তাদের জানানো হয় শনিবারও কর্মসূচি থাকবে। যার কারণে সমাবেশ শেষে করে তাদের আবার বৈঠকে বসতে হয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিদ্ধান্ত তো কিছুটা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সবসময় হয়। এটা কোনো ব্যাপার না। সেজন্য হয়ত রোববার দেওয়ার কথা থাকলেও শনিবারই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নেতাকর্মীরা তো উজ্জীবিত আছেনই। সিদ্ধান্ত তো যখন-তখন পরিবর্তন হতে পারে। যেমন- আগে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল বৃহস্পতিবার সমাবেশ করার। কিন্তু হয়েছে আজ শুক্রবার।

নাম না প্রকাশের শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত পর্যন্ত সিদ্ধান্ত ছিল শনিবার আশুরার দিন কর্মসূচি না দেওয়ার। কিন্তু সকালে সিদ্ধান্ত হয়, ঢাকায় আসা নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে হলে কর্মসূচিতে কোনো বিরতি দেওয়া যাবে না। তাই বিরতিহীনভাবে আগামী সপ্তাহেও আন্দোলন চলবে।

ওই নেতা আরও জানান, আগামীকাল (শনিবার) ঢাকার প্রবেশ মুখে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি থেকে রোববারের ঘেরাও কর্মসূচি আসবে। এভাবে আগামী সপ্তাহে প্রতিদিন কোনো না কোনো কর্মসূচি পালিত হবে।

শুক্রবার নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ থেকেও বিএনপি নেতারা তাদের বক্তব্যে ঢাকার বাইরে থেকে আসা নেতাকর্মীদের থেকে যেতে আহ্বান জানান। তারা বলেন, এ সরকার নিজ থেকে ক্ষমতা ছাড়বে না। ভবিষ্যতে কোনো ঝড়-তুফান মানব না। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য ঝড়-তুফান মোকাবিলা করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই ঢাকার কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীদের ঢাকায় থাকার আহ্বান জানান তারা।

এএইচআর/এসএসএইচ/