গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আন্দোলনের খেলা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনার এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করুন। সরকারের কাঁপুনি ধরে গেছে। তাই তারা ইন্টারনেট বন্ধ করে দিচ্ছে, বাসে বাসে তল্লাশি চালাচ্ছে।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে এক দফা দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি করা হয়েছে। শেয়ারবাজার, ব্যাংক খাত ধ্বংস করে দেশকে দেউলিয়া বানানো হয়েছে। সরকার যেসব ঋণ নিয়েছে, সে ঋণের বোঝা জনগণের ঘাড়ে এসে পড়ছে। ভারতীয়দের দালাল আওয়ামী সরকারকে যদি না হটানো হয়, তাহলে বাংলাদেশ ভারতের একটি করদ রাজ্যে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, এই সরকার যদি শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ না করে, তাহলে গণভবন-বঙ্গভবন ঘেরাও করা হবে। কেউ যেন পালিয়ে যেতে না পারে, তার জন্য এয়ারপোর্টও ঘেরাও করা হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, পত্রিকায় খবর এসেছে, শান্তি সমাবেশে যোগদান করার জন্য ঢাবি ছাত্রদের বাধ্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, না গেলে হলে থাকতে দেওয়া হবে না। ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান, আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন, এই ছাত্রলীগ পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। এমন কেউ নেই যে তারা বাকশালীদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়নি। ভিন্নমতের ওপর ক্রমাগত স্টিমরোলার চালানো হয়েছে।

সমাবেশে দলের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে, আমরা এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ করছি। শান্তি সমাবেশের নামে তারা বিক্ষোভ সমাবেশকে বানচাল করতে চায়। ঢাকায় মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। মোবাইল চেক করছে, আইন লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, সরকারকে বলতে চাই, মামলা-হামলা করে রাজনীতিতে আমাদের নিঃশেষ করতে পারবেন না। রাস্তায় মানুষের মিছিল নেমে গেছে। তারাও সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। যার যার জায়গা থেকে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। আগামীতে গণঅভ্যুত্থান হবেই, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবেই।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জানে আলম অপু, ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক অধিকার পরিষদের মাহবুবুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবঅধিকার পরিষদের সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আসাদ রনি, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

ওএফএ/এসএসএইচ/