গেট ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ নুরের, বের করে দিল পুলিশ
রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত প্রিতম-জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কলাপসিবল গেট ও তালা ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করেন নূরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ধ্যার দিকে আবারও গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় মালিকপক্ষ।
পল্টন থানা পুলিশের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ধাক্কাধাক্কি করে কলাপসিবল গেট ভেঙেই কার্যালয়ে প্রবেশ করেন নূর। পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে নূরসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তবে গণঅধিকার পরিষদের নেতা শাকিলুজ্জামানের দাবি, এ ঘটনায় নুর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিকেলে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে। এতে সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অন্তত ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নুরকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমাদের কার্যালয়ে প্রবেশে সহযোগিতা না করে উল্টো লাঠি চার্জ করেছে।
তিনি আরও বলেন, রেজা কিবরিয়া যখন বোঝতে পারলেন তাদের রাজনীতি শেষ এবং আমাদের কাউন্সিল বৈধ তখন তারা আমাদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন। একইসঙ্গে আমাদের দলের নিবন্ধনের যেসব কাগজপত্র ছিল, যেগুলো দিয়ে হাইকোর্ট রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, সেগুলো তারা নিয়ে গেছেন। সাংগঠনিক টাকা ছিল সেটাও নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ এখন আমাদের কার্যালয় সিলগালা করে রেখেছে। কেউ ঢুকতে পারছে না। আমরা হাসপাতাল থেকে বাসায় এসেছি।
এ ব্যাপারে পল্টন থানার ওসি সালাহ উদ্দিন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মালিকপক্ষ ভাড়া আর দেবে না, সেজন্য তারা অফিস তালা দিয়েছেন। নতুন কলাপসিবল গেট লাগানো হয়েছে। কিন্তু সেটি জোর করে, ভেঙে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন নুর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ধাক্কাধাক্কি করেই নূরসহ লোকজন গেট ভেঙে কার্যালয় প্রবেশ করে।
ওসি সালাহউদ্দিন বলেন, পুলিশ এতকিছুর পরও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে, উভয়পক্ষকে নিবৃত করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নূরসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বের করা হয়। নতুন তালা আবার ঝুলিয়েছে মালিকপক্ষ। আমরা বলেছি, এখান আর কোনো ঝামেলা নয়। যা করার আদালতে গিয়ে করেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কার্যালয়ের সামনে ফেসবুক লাইভে নুরুল হক নুর বলেছিলেন, চুক্তি অনুযায়ী আমাদের ছয় মাসের সময় দেওয়া হোক। পুলিশ-প্রশাসনকে বলছি, দখলদারের পক্ষে না থেকে চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কার্যালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিন। এখানে বাধা দিলে রক্ত ঝরবে, লাশ পড়বে। আপনারা এখান থেকে চলে যান আমাদের কার্যালয়ে ঢুকতে দিন।
জেইউ/এসকেডি