সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ এক দফা দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা শুরু করেছে বিএনপি।

বুধবার (১৯ জুলাই) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এ পদযাত্রা শুরু হয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আব্দুল্লাহপুর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে এয়ারপোর্ট, কুড়িল, নতুন বাজার, বাড্ডা, রামপুরা ব্রিজ ও আবুল হোটেল পর্যন্ত নিয়ে আসবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। এরপর আবুল হোটেল থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি পদযাত্রা শুরু করে খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদা, সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ী গিয়ে শেষ করবে।

যুগপৎভাবে অনুষ্ঠিত এই পদযাত্রায় বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটসহ অন্যান্য জোটগুলো অংশ নেবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বিএনপির বাইরেও ৩৭ টি দল যুগপৎভাবে এই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছে।

আব্দুল্লাহপুর থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আমিনুল হক।

গতকাল মঙ্গলবার প্রথম দিনের পদযাত্রায় মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ/ছবি- সংগৃহীত

সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ছেড়ে দেওয়ার দিন শেষ, এখন খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। আর কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আমার অধিকার আমাকে রক্ষা করতে হবে। 

আওয়ামী লীগ শান্তি মিছিলের নামে অশান্তি তৈরি করছে মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির মিটিং মিছিলে কোনো ধরনের ঝামেলা হয় না। আওয়ামী লীগ ঝামেলা তৈরি করতে চায় কেন? আমরা মিটিং-মিছিল করব, আপনারা ইট মারবেন (মঙ্গলবার বাংলা কলেজের সামনে সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে) আর আমরা ছেড়ে দেবো, এটা তো হবে না।

এর আগে মঙ্গলবারের (১৮ জুলাই) পদযাত্রায় মিরপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে সংঘর্ষের পর বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি মোটরসাইকেল ও একটি বাইসাইকেলে আগুন দেন। 

জানা যায়, বিএনপি নেতাকর্মীরা পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। তখন তাদের সঙ্গে মিরপুর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পরে বিএনপির কিছু কর্মী সেসময় একটি মোটরসাইকেল ও একটি বাইসাইকেলে আগুন দেয়।

এএইচআর/এমজে