সড়কে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে উন্নয়ন ও শান্তি শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই সমাবেশের কারণে শাহবাগ, মৎস্যভবন ও পল্টন এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর ৩টার পর থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন নেতাকর্মীরা। এতে করে মাওলানা ভাসানী সড়কের শাহবাগ-মৎস্য ভবন এবং মৎস্য ভবন-শাহবাগ অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়কে থাকা যানবাহনের যাত্রীরা।

এসময় সমাবেশের মঞ্চ থেকে শাহবাগ ও মৎস্য ভবন মোড়ে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্যদের বারবার ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে থাকেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

মাওলানা ভাসানী সড়কে ভোগান্তিতে পড়া তারেক হোসেন নামের এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা শহরের মতো জায়গায় একটি কর্মদিবসে দুইটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি জনগণের ভোগান্তি ছাড়া কিছু নয়। এখানে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলে তারা শান্তি সমাবেশ করছে। এ শান্তি সমাবেশের অর্থ আমি বুঝি না।

আরেক যাত্রী বলেন, ঢাকা শহর খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এই শহরে প্রতিটি মিনিটের দাম আছে। এমনিতেই যানজটের শহর, তার ওপর রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ চলছে। এটা ভোগান্তি নাকি অন্য কিছু, সেটা আপনিই বলুন।

সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ডাকা শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৩টায়। তবে সেটি ৪০ মিনিট পিছিয়ে ৩টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়। এরপর ৩টা ৫০ মিনিটে সমাবেশ স্থলে আসেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

সমাবেশে শেষে শোভাযাত্রা শুরু হবে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড ও মিরপুর রোড় হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এমএইচএন/কেএ