আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির এক স্বপ্ন মারা গেছে, আরেক স্বপ্ন দেখছে। কী স্বপ্ন দেখছে? শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের এক দফা, সংবিধান সম্মত নির্বাচন; আমাদের এক দফা, শেখ হাসিনাকে রেখেই নির্বাচন।

বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির খবর জানেন? তাদের এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের এক দফা শেখ হাসিনাকে ছাড়া নির্বাচন হবে না। বিএনপি জানে নির্বাচন হলে তারা হেরে যাবে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কাছে ভেসে যাবে। তারা শেখ হাসিনাকে হিংসা করে। শেখ হাসিনার অপরাধ তিনি উন্নয়ন করেছেন; শেখ হাসিনার অপরাধ ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন।

বিদেশিদের উদ্দেশে কাদের বলেন, আপনারা চান অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরাও সেটা চাই। সেই সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিতে আসলে প্রতিহত করব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের দফা একটা। শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচন শেখ হাসিনার আমলেই হবে। বাংলাদেশের জনগণ যাকে ভালোবাসে, বাংলাদেশের জনগণ যে নেত্রীর সততাকে পছন্দ করে, যে নেত্রীর উন্নয়নকে পছন্দ করে, বাংলাদেশের মানুষ যে নেত্রীর পরিশ্রমকে পছন্দ করে, যিনি সারারাত জেগে মানুষের কথা ভাবেন, রাত ২টায় ফোন করেও যাকে পাওয়া যায়, আমাদের এমন নেতা আমরা হারাতে পারি না। 

তিনি বলেন, তারা পদ্মা সেতু চায়নি, তারা মেট্রো রেল চায়নি, তারা এক দিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন চায়নি, তারা রূপপুর প্রকল্প চায়নি, সেই উন্নয়ন যাদের পছন্দ নয়, তারা শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে না। বিএনপি অনেক স্বপ্ন দেখেছিল, আজকেও কাঁথা, বালিশ নিয়ে লোক আনার চেষ্টা করেছে। আগে একটা স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন ডিসেম্বরে গোপীবাগের গরুর হাটে গিয়ে মারা গেছে।  আরেক স্বপ্ন দেখছে। কী স্বপ্ন? শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের এক দফ পল্টনের কাদা পানিতে আটকে গেছে। বৃষ্টির পানিতে নয়া পল্টনের কাদা পানিতে বিএনপির স্বপ্ন আটকে গেছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। বলে দিচ্ছি মাঠে আছেন, মাঠে থাকবেন। খেলা হবে নির্বাচন পর্যন্ত। খেলা চলবে ছাড়বেন না যখনই শেখ হাসিনার নির্দেশে ডাক দেব তখন চলে আসবেন।

তিনি আরও বলেন, যারা আমার দেশের অগণিত মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে, যাদের হাতে রক্তের দাগ তাদের সঙ্গে আপস নয়। তাদের সাথে কোনো সংলাপ নয়। আমরা ৭১ এর চেতনার সঙ্গে আপস করতে পারি না। আমাদের নেত্রী অনেক দয়া দেখিয়েছেন, অনেক মহানুভবতা দেখিছেন। গণতন্ত্রের অপশক্তির সঙ্গে আপস আওয়ামী লীগ করতে পারে না। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এ রকম মঞ্চ দেখতে চাই না। শৃঙ্খলা থাকতে হবে। এত নেতা আমার দরকার নেই। একটা মিটিংয়ে এত বক্তাও আমার দরকার নেই। আওয়ামী লীগ যখন খেলতে নামবে তখন কোনো অপশক্তি সামনে দাঁড়াতে পারবে না। তৈরি হয়ে যান, প্রস্তুত হয়ে যান। আমি সবাইকে বলব সামনে শোকের মাস, শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্য কেউ নষ্ট করবেন না। শোকের মাসের বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার ছবি ছাড়া আপনার ছবি দিয়ে প্রচার করবেন না। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। 

এমএসআই/এসকেডি