হেফাজতে ইসলামের হরতালকে ঘিরে যেসব যানবাহন পোড়ানো হয়েছে, তা ‘র’ এজেন্টরা পুড়িয়েছে কি না, সেটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, অনেকেই বলছে, জনগণ থানায় আক্রমণ করছে, সরকারি অফিস আদালতে আক্রমণ করছে। এর কারণটা কি? আমি এর বিরোধিতা করি। কিন্তু এটা কি তারা (হেফাজতে ইসলাম) পুড়িয়েছে, না ‘র’ পুড়িয়েছে সেজন্য নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন।

সোমবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এবি পার্টি আয়োজিত ‘কণ্ঠরোধ, হত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংহতি সভা’য় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গুবন্ধুকে আমার দেশের মানুষ ভালোবাসে। আমরা তাকে শ্রদ্ধা করি। আপনি যদি তাকে ভালো নাও বাসেন তাও তাকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। তাকে নিয়ে উপহাস করার অধিকার নেই। তার প্রমাণ হলো গান্ধী শান্তি পুরস্কার। মনে রাখা দরকার, এই গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২১ বছর আগে ড. ইউনূস পেয়েছিলেন। আপনি তাকে পছন্দ করেন না। সেই ড. ইউনূস পেয়েছে ২১ বছর আগে। আর এই পুরস্কার বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া হলো তার মৃত্যুর ৪৬ বছর পর। এ ধরনের রাজনৈতিক প্রহসনের মানেটা কি?

নাগরিক ঐক্যের আহ্বাক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'আজকের পত্রপত্রিকায় পড়লাম স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ঘিরে ১৪ জন মারা গেছে। আর হেফাজত ইসলাম বলছে মোট ১৭ জন মারা গেছে। এর থেকে বড় কলঙ্ক এই জাতির আর কী হতে পারে! সবাই প্রতিবাদ করছে। যার জন্য এই প্রতিবাদ করছে, তাদের কিছু যায় আসে না। আমি বহুবার বলেছি সরকারের কোনো দয়ামায়া নেই।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি হেফাজতকে পছন্দ করি কী করি না সেটা অন্য কথা। তারা যে দাবি নিয়ে সংগ্রাম শুরু করেছে সেটার পক্ষে আমি আছি কী আছি না, সেটা অন্য কথা। কিন্তু এরা (হেফাজতে ইসলাম) নাড়িয়ে দিয়েছে সব কিছু। সরকারের সব ক্ষমতার ভিতকে কাঁপিয়েছে। এই কাঁপুনি যেন না থামে, এজন্য আমাদের কিছু শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। এখন সময় সরকারকে জবাব দিয়ে দেওয়ার।'

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ রেজা ড. রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস