প্রেসক্লাবে ‘শেখ হাসিনা সরকার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

‘বি‌শ্বের সব রাষ্ট্রনায়‌কের তুলনায় বাংলা‌দে‌শের প্রধ‌ানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার উৎসর্গ (অবদান) সব‌চে‌য়ে বে‌শি’ উল্লেখ ক‌রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মেন ব‌লে‌ছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) তার নেতৃত্বের সর্ব‌োচ্চ পরিপক্বতায় অবস্থান কর‌ছেন। শেখ হাসিনার নামে কোনো বদনাম নেই।’

সোমবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লা‌বের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাজু আলীমের লেখা ‘শেখ হাসিনা সরকার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি ব‌লেন, ‘বিশ্বের সব রাষ্ট্রনায়কের তুলনায় শেখ হাসিনার উৎসর্গ সবচেয়ে বেশি। এ জন্য শেখ হাসিনার একটা আলাদা অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতা আছে। বর্তমানে তার নেতৃত্ব সর্বোচ্চ পরিপক্বতার অবস্থানে আছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার প্রশংসা ক‌রে মোমেন ব‌লেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বহুমাত্রিক জীবন দুই মলাটের ভেতর স্বল্পপরিসরে লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না। দেশ গড়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অভাবনীয় সাফল্য সব কিছুতেই এখনও প্রকাশিত হয়নি। শেখ হাসিনার নামে কোনো বদনাম নেই। শেখ হাসিনা যেটা হাতে নেন সেটাতেই সফল হন। তিনি বাপের বেটি।’

এ সময় জা‌তির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমা‌নের প্রসঙ্গ টা‌নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তি‌নি ব‌লেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি দেশ দিয়েছেন। আর সেই দেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজ এগিয়ে নিয়েছেন তারই সুযোগ্য কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি না হলে এ দেশে এত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি কিছুতেই সম্ভব হতো না।’

‘তারই নেতৃত্বে বাংলা‌দেশ এক‌টি সম্ভাবনাময় দেশ’ ব‌লেও মন্তব‌্য ক‌রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি ব‌লেন, ‘৪৯টি স্বল্পআয়ের দেশের মাত্র তিনটি দেশ দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে, বাংলাদেশ এর একটি। দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে, বেড়েছে সামাজিক নিরাপত্তা; শিশু মৃত্যু,  মাতৃ মৃত্যুর হার ক‌মি‌য়ে আনা সম্ভব হ‌য়ে‌ছে।’

জলবায়ু প‌রিবর্ত‌নে বাংলা‌দে‌শের ভূ‌মিকা তু‌লে ধ‌রেন মো‌মেন। তি‌নি ব‌লেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড এবং ক্লাইমেট ভালনারে‌বল ফান্ড গঠন করা হ‌য়ে‌ছে। জলবায়ু প‌রিবর্তন মোকা‌বিলায় বাংলা‌দেশ সক্ষমতার প‌রিচয় দি‌য়ে‌ছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমা‌নের জন্মশতবা‌র্ষিকী ও বাংলা‌দে‌শের সুবর্ণজয়ন্তী‌তে ঢাকা সফর করা পাঁচ প্রতি‌বেশী রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান‌দের সফর এ দেশ‌কে সম্মা‌নিত ক‌রে‌ছে ব‌লেও উল্লেখ ক‌রেন মো‌মেন।

এনআই/এমএইচএন/এফআর