নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা শুধু সরকার পরিবর্তনের কথা বলছি না। আমরা যাত্রাটা শুরু করেছি এ বলে যে, সরকার এবং শাসন ব্যবস্থার জন্য একইসঙ্গে লড়াই করতে চাই। সেজন্য আমরা দফা দিয়ে শুরুতেই বলেছি রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। তা না হলে কেবল মাত্র একটা দলের পরিবর্তে আরেকটা দলকে ক্ষমতায় বসানোর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র অর্জিত হবে এ রকম আশা আমরা জনগণের মধ্যে জাগ্রত করতে চাই না।

রোববার (২৫ জুন) ‌‘রাজনৈতিক সংকট, চলমান গণআন্দোলন ও জনপ্রত্যাশা' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যে সরকারের প্রধান একেবারে নিখাদ একটা বানোয়াট কথা বলতে পারেন যে আমি ক্ষমতায় থাকতে পারি যদি আমি সেন্ট মার্টিন দিতে রাজি হই। সেই কথা বলার ২৪ ঘণ্টা আগেই দেশটির ঢাকা অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, আমরা দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি এবং আমরা এরকম কোন জিনিস আপনাদের কাছে চাইনি। তারপরেও তাদের কোনো লজ্জা হয় না। সরকার সে সম্পর্কে কোনো সংশোধনী দেয় নি, আগের মতোই মিথ্যা কথা বলে চলেছে। 

তিনি বলেন, একটা দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বলেন যে, ভারতে গিয়ে বলেছিলাম অন্তত আরেকবারের জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে রাখেন। কতটা নির্লজ্জ হলে একটা সরকারের মন্ত্রী এ রকম করতে পারে। দেশের এ সংকট নিরসনের জন্য আমাদের আরও ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে। যে শান্তিপূর্ণ পথে এ সংকট উত্তরণের কোনো ব্যবস্থা করা যায় কিনা।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিএনপিকে দিয়ে সব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। তাই বর্তমান আন্দোলনে গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্য দলগুলো যত শক্তিশালী হবে, জনগণের আকাঙ্ক্ষা যত বেশি ধারণ করতে পারবে, তত বেশি বেশি বিএনপি আন্দোলনে থাকতে বাধ্য হবে। আমরা লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সব বিরোধী দলের ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। এই গণ-ঐক্যের মধ্য দিয়ে দেশের পরিবর্তন হবে। মানুষ তার ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন করবে। মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যের মধ্য দিয়ে যেভাবে স্বাধীনতা এসেছিল, তেমনি আরেকটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এবার আমরা দেশকে রক্ষা করব।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দেশে আজকে যে পরিস্থিতি বিরাজমান, সেই পরিস্থিতি থেকে যদি দেশকে উদ্ধার করতে হয়, সেটি গণতন্ত্র বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে একা সম্ভব নয়। আমরা প্রত্যেকেই যার যার জায়গা থেকে লড়াই করছি। অন্যদেরও এই ফ্যাসিবাদের অপসারণে কর্মসূচি দিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আজকে যে বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসন আমাদের উপর চেপে বসেছে, সেটি এক ব্যক্তির শাসন। এই শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন ও সংবিধান পরিবর্তনের জন্য আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ তৈরি করেছি।

ওএফএ/এসকেডি