গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেছেন তারই দলটির সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, টাকার লোভে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার ফাঁদে পড়ে রেজা কিবরিয়া বিএনপি ভেঙে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দুঃস্বপ্নে বিভোর। 

সোমবার (১৯ জুন) রাতে নুরুল হক নুর তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন। 

‘রেজা কিবরিয়ার অসত্য বক্তব্য ও মিথ্যাচার নিয়ে আমার বক্তব্য নিম্নরূপ’ শীর্ষক স্ট্যাটাসে নুর বলেন, ‘নিজের অপকর্ম ঢাকতে আমাকে নিয়ে রেজা কিবরিয়ার অসত্য বক্তব্য ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ। রেজা কিবরিয়া কতটুকু অযোগ্য সেটা তার কাজকর্মে ইতোমধ্যে আপনারা পর্যবেক্ষণ করেছেন। গণঅধিকার পরিষদের মতো একটা সম্ভাবনাময় দলের আহ্বায়ক হয়েও তিনি ঐভাবে দলের মিটিং-মিছিল, কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন না।’

>> রেজা-নুরের দ্বন্দ্বে ভাঙতে যাচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ

রোববার তাদের দলের বৈঠক ছিল উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট পরিচয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় জনৈক মাসুদ করিম/এনায়েত করিমের বিএনপি ভাঙা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল আব্দুস সাত্তার মডেলে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কথিত সরকার বিরোধী প্রোগ্রামের নামে রেজা কিবরিয়ার ব্যাংকক, কাঠমুন্ডুতে একাধিকবার মিটিংয়ে অংশ নেওয়া এবং দেশে এসে মনোনয়ন বিক্রি ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ এবং সর্বশেষ ইনসাফের প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার বিষয়ে গতকাল রেজা কিবরিয়ার বাসায় জরুরি মিটিংয়ে এসব বিষয়ে জবাবদিহিতা চাইলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে নেতৃবৃন্দের প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে বাসার ছাদের মিটিং স্থান ত্যাগ করে বাসায় ঢুকে আর মিটিংয়ে আসেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে কারণে আমরা তার উপস্থিতিতে আর মিটিং করতে পারিনি। তাই উপস্থিত সদস্যদের মতামতে আমরা বাকী আলোচনা সম্পন্ন করে আজকে পূর্ব নির্ধারিত মিটিংয়ে অসমাপ্ত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে সকলে একমত হই যে মিটিং এখনো কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলমান।’

স্ট্যাটাসে নুর আরও উল্লেখ করেন, ‘নিশ্চয়ই আপনারা অবগত আছেন, এই রেজা কিবরিয়ার কারণেই গণফোরামও ভেঙে ছিল।’

এএইচআর/ওএফ