বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘এয়ারবাস’ কেনার সিদ্ধান্তের মূল কারণ কমিশন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ বিমান এমনিতে চলতে পারে না, পয়সা নেই, লস হতে হতে এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, বিমান চালানোর কোনও উপায় নেই।

সোমবার (২২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (এ্যাব) এর উদ্যোগে ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা : লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমি বিমান মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছি। আমি জানি, এয়ারবাস কেন কিনতে চায়। কারণ বোয়িং কমিশন দেয় না, এয়ারবাস দেয়। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, এয়ারবাস কমিশন দেয় কিন্তু বোয়িং কোনও কমিশন দেয় না। একারণে বোয়িং বাদ দিয়ে এয়ারবাস কেনা হচ্ছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদ সভায় বিমান বহরের সঙ্গে নতুন ১০টি অত্যাধুনিক এয়ারবাস ক্রয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন,  সম্প্রতি দেখলাম বিমানের এমডি বলছেন, দেশের স্বার্থ চিন্তা করে কেনা হচ্ছে। দেশের স্বার্থ চিন্তা করলে যেগুলো আছে সেগুলোকে এফিশিয়েন্টলি চালানোর চেষ্টা করেন। সেগুলো তো করছে না। নতুন ড্রিম লাইনার নিয়ে এসেছেন, এমন হ্যান্ডলিং করেন যে, অন্য প্ল্যান ওটাকে মেরে দিয়ে একবছর পরে থাকে, দু্ই বছর পরে থাকে। এটাই বাস্তবতা।

তিনি আরও বলেন, আজকে সরকারের একটাই লক্ষ্য কিভাবে চুরি করবে, কিভাবে দুর্নীতি করবে। তারা গোটা বাংলাদেশকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। আরও পাঁচ বছর লুট করতে চায়। সেজন্য এখন তারা ভোট চাইতে শুরু করে দিয়েছে।

এ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কে এস আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

এএইচআর/এমএ/