রাজধানীর গুলশানের এক পার্টি সেন্টারে ঈদ আড্ডার আয়োজন করে কল্যাণ পার্টি। এতে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে অনুষ্ঠিত এই ঈদ আড্ডায় অংশ নেয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

এছাড়াও গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি মন্ডল, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান ড. নুরুল আমিন বেপারী, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ প্রমুখ।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হাসান সাকীবের সঞ্চালনায় চলে ঈদ আড্ডা।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ঈদ আড্ডার মাধ্যমে জাতির মনে আশা তৈরি হলো। এখানে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক নেতারা জেনারেল মুহাম্মদ ইবরাহিমের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। একসাথে আড্ডা দিতে এসেছেন। এই আড্ডা সব দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আড্ডা মনকে প্রফুল্ল ও উৎসাহিত করে। এখানে রাজনৈতিক আড্ডা হচ্ছে। আড্ডাটা নতুন করে আশা তৈরি করবে। আমরা সবাই অপেক্ষা করছি পরিবর্তনের জন্য। অপেক্ষা করছি সত্যিকার অর্থে এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য।

তিনি বলেন, যিনি গণতন্ত্রের জন্য সবসময় আন্দোলন করেছেন সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসিত। লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, রাজনৈতিক নেতারা কারো প্রতিপক্ষ নন, কিন্তু আজ যেন একে অপরের শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে। সামাজিকভাবে আমাদের কাজ করতে হবে। তাহলে দেশের রাজনীতিতে আগামীতে সুবাতাস বইবে। আমরা দেশের রাজনীতিতে কাজ করে যাচ্ছি, কাজ করে যেতে চাই।

এএইচআর/ওএফ