নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠাতে বেপরোয়া সরকার
‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৮৫ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বর্তমান বিনা ভোটের সরকার অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা দায়েরসহ আদালতকে দিয়ে জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সেটিরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা আবদুল বাতেন, সাদেকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, যুবদল নেতা মোহাম্মদ শাহেদ, ফজলুল হক সুমন, মো. সেলিম খান, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা বেলায়েত হোসেন বুলু, আলী মর্তুজা খান, ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দিন নাহিদ, ছাত্রদল নেতা সানাউল কাদের সানি, তারেকুর রহমান জনি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন হাটহাজারী উপজেলা বিএনপি নেতা পারভেজ, সৈয়দ শাহীনুল হক প্রকাশ শাহেদ, ইয়াকুব মেম্বারসহ ৮৫ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ জুলুম বন্ধ করতে হবে।
বর্তমানে দেশে সুশাসন নেই বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিচারকরা আইন অনুসরণ করে বিচারকার্য পরিচালনা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলেই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এএইচআর/এফকে