বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণে কাজ করছেন শেখ হাসিনার সরকার
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্র কাঠামো বিষাক্ত নয়, বরং বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণের জন্যই বিরামহীনভাবে কাজ করে আসছে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার।
তিনি আরও বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী নিঠুর স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্র কাঠামোকে বিষাক্ত করে গেছে। তার প্রতিক্রিয়া ও ক্ষত এখনও সমাজ-রাষ্ট্র বয়ে বেড়াচ্ছে। বিএনপি রাজনীতির নামে রাষ্ট্র কাঠামোর সর্বত্রই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী আদর্শ এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত ও লালন-পালন করেছে। সময়ের সাথে সাথে বিএনপি একটি বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সেই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ নিরাপদ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।
বিজ্ঞাপন
আজ (শুক্রবার) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
• আরও পড়ুন : আ.লীগের নেতৃত্বে কতজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন, প্রশ্ন ফখরুলের
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ এই জনপদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপ্রদর্শক। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার পর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন শুধু নয়, এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য যে সরকার আইনগত বৈধতা ও স্বীকৃতি অর্জন করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার বন্দরে পৌঁছে দিয়েছিল, সেই সরকার ছিল ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জনপ্রনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার তথা আওয়ামী লীগ সরকার। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের সংগঠন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার হিসাব তুলতে গিয়ে নিজের স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানকেই সুস্পষ্ট করেছেন। ব্যক্তি স্বার্থে ও ক্ষমতার লোভে আদর্শচ্যুত কতিপয় দালাল, খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকে নিয়ে গঠিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য তাদের স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন যে স্বাধীনতা, তার ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে যদি কেউ আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় তাহলে তারাই এ দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বিভেদের কথা বলছেন! এতে আমাদের আফসোস হয়। জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলার হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি ঘাতকচক্র স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে বিভেদের গোড়াপত্তন করে সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান।
এমএসআই/এনএফ